নয়াদিল্লি: পিএল ক্যাপিটালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বেঙ্গালুরু এবং ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন (NCR)-এর মতো প্রধান শহরগুলিতে সম্পত্তির দাম বাড়লেও ভারতে আবাসন চাহিদা ধরে রেখেছে দ্রুত নগরায়ণ এবং বাড়তে থাকা পারিবারিক আয় (Household Income)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ ব্যবহারযোগ্য আয় (Disposable Income) এবং সুদের হার কমার সম্ভাবনার কারণে দীর্ঘমেয়াদে আবাসন বাজারে কার্যক্রম বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সাশ্রয়ী মূল্যের (Affordable) এবং মধ্য-আয়ের আবাসন চাহিদার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে চললেও, উচ্চ ধনসম্পদযুক্ত ব্যক্তি (HNI) এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের দ্বারা চালিত ধনী বাজারগুলিতে বিলাস বহুল আবাসনও (Luxury Housing) শক্তিশালী গতি দেখাচ্ছে।
স্থিতিশীল হবে দাম, নজর সবুজ ভবনে:
২০২৪ সালে আবাসিক ও বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেটে শক্তিশালী বৃদ্ধির পর, ২০২৫ সালে আবাসিক সম্পত্তির দাম স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে এই খাতে স্থির লাভ অব্যাহত থাকবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “নগরায়ণ এবং আয়ের বৃদ্ধি মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও আবাসন চাহিদাকে ধরে রেখেছে।”
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২৫ সালের রিয়েল এস্টেট চাহিদা বৈশ্বিক এবং স্থানীয় কারণগুলির সংমিশ্রণে তৈরি হচ্ছে, যেখানে আবাসিক সম্পত্তিই প্রধান ভূমিকা পালন করবে। স্থায়িত্ব (Sustainability) এবং সবুজ ভবন (Green Building) নির্মাণ ক্রমশ ক্রেতাদের পছন্দের উপর প্রভাব ফেলছে, যেখানে পরিবেশবান্ধব এবং শক্তি-সাশ্রয়ী সম্পত্তিগুলি বেশি দাম হাঁকছে।
২০২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে বাজারটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কাঠামোগত সংস্কার এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধির কারণে কম ভাড়ার ফলন (Rental Yields) সত্ত্বেও মালিকানার চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ক্ষেত্রটি এখন তার ঐতিহাসিকভাবে খণ্ড খণ্ড অতীত থেকে সরে এসে টেকসই বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করছে।