ফের অশান্তির আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পদ্মাপারের রাজনীতি। আর এই অস্থির পরিস্থিতির মাঝেই ফের টার্গেট করা হচ্ছে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের। একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওপার বাংলায় এখন আতঙ্কের পরিবেশ। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর এই ‘অবিরাম হিংসার’ ঘটনায় এবার কড়া ভাষায় উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। নয়াদিল্লির তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ইউনূস প্রশাসনকে অতি দ্রুত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২০২৪ সালের অগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর সামনে আসছিল। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা দখলের পর পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার আশা থাকলেও বাস্তব চিত্রটা একেবারেই উল্টো। সম্প্রতি ময়মনসিংহে দীপু দাস নামে এক হিন্দু যুবককে নির্মমভাবে মারধরের পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই রেশ কাটতে না কাটতেই রাজবাড়িতে অমৃত মণ্ডল নামে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশের দাবি, তোলাবাজির অভিযোগে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের জেরে এই গণপিটুনি। তবে একের পর এক হিন্দু মৃত্যুর ঘটনায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি বাংলাদেশের পরিস্থিতির নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ-সহ সংখ্যালঘুদের ওপর বাংলাদেশে যে ধারাবাহিক হিংসা চলছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। দীপু দাসের খুনের ঘটনা জঘন্য। আমরা আশা করি ইউনূস সরকার দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে।” জয়সওয়াল আরও তথ্য দেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২,৯০০-র বেশি হিংসার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। সেই ভোট যাতে অবাধ, স্বচ্ছ এবং ভীতিমুক্ত পরিবেশে হয়, তার ওপর ভারত কড়া নজর রাখছে বলে জানিয়েছে সাউথ ব্লক।