নিজের মনের কথা স্পষ্টভাবে বলতে কখনও পিছপা হন না বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক (Elon Musk)। এবার তিনি সকলের সামনেই এমন এক ভবিষ্যৎবাণী করলেন, যা বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। মাস্কের মতে, পৃথিবী একটি বিরাট দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়তে চলেছে, যার ফলে ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যেই একটি বড় যুদ্ধ হতে পারে। অনেকেই মনে করছেন, তিনি আকারে-ইঙ্গিতে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
‘যুদ্ধ অনিবার্য’: মাস্কের মন্তব্য এই মন্তব্যের সূত্রপাত হয় ‘X’ (আগের টুইটার) প্ল্যাটফর্মে। হান্টার অ্যাশ নামে এক ব্যবহারকারী দাবি করেন যে, পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকির কারণেই বড় শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ হচ্ছে না এবং এ কারণে সরকারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না।
ওই ব্যবহারকারী লেখেন, “সরকারগুলি এখন চুষছে। কারণ, পারমাণবিক অস্ত্রগুলি বড় শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে যুদ্ধ বা এমনকী যুদ্ধের হুমকির মুখে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই সরকারগুলিকে উপর কোনও বাইরের চাপ নেই।”
এই পোস্টের জবাবে বিলিয়নিয়ার এলন মাস্ক সহজভাবে এবং সংক্ষিপ্ত উত্তরে জানিয়েছেন: “যুদ্ধ অনিবার্য। ৫ বছর বা সর্বাধিক ১০ বছর।” অর্থাৎ, ২০৩০ সালের মধ্যেই একটি বড় যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন তিনি।
পরমাণু সংঘাতের জল্পনা: যদিও এলন মাস্ক তার মন্তব্যের বিষয়ে নির্দিষ্ট বা বিস্তারিত কিছু খোলসা করেননি এবং সরাসরি পরমাণু যুদ্ধের কথাও বলেননি, তাঁর মতো দূরদর্শী ব্যক্তির এই ঘোষণা বিশ্বজুড়ে জল্পনা বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মাস্ক এই মন্তব্যের মাধ্যমে সব সরকার এবং মানুষকে সতর্ক করছেন।
মাস্কের পূর্বের ইঙ্গিত: এলন মাস্কের AI চ্যাটবট Grok থেকে এই মন্তব্যের একটি ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করা হয়। চ্যাটবটটি মাস্কের পূর্বের কিছু বিবৃতি তুলে ধরে, যা বিশ্বব্যবস্থার সংঘাত নিয়ে সতর্ক করে। Grok লিখেছে যে, মাস্ক আগে গণ অভিবাসন এবং পরিচয়ের রাজনীতির কারণে ইউরোপ ও ব্রিটেনে সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। পাশাপাশি তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন-চীনের মধ্যে সংঘাত বা ইউক্রেন দ্বন্দ্বের কারণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার মতো পরিস্থিতির কথাও তিনি জানিয়েছেন।
মাস্কের এই মন্তব্য তাঁর দূরদৃষ্টির কারণে আলাদা গুরুত্ব বহন করছে। এই সংক্ষিপ্ত উত্তর বিশ্বের নেতাদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্ররোচিত করতে পারে।