ভালো-মন্দের মিশেলে ফুরিয়ে এল ২০২৫। ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে, বছরের শেষ দিন বুধবার এবং নতুন বছরের শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার দিয়ে। শাস্ত্র মতে, বৃহস্পতিবার মানেই মা লক্ষ্মীর বার। তাই ২০২৬ সালকে সমৃদ্ধি আর সৌভাগ্যের বছরে পরিণত করতে ৩১ ডিসেম্বর এক বিশেষ সুযোগের কথা জানাচ্ছেন বিখ্যাত জ্যোতিষী রাহুল দে।
ইচ্ছা পূরণের ‘ম্যাজিক’ টোটকা জ্যোতিষী রাহুল দে-র মতে, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে বারবার বাধা পাচ্ছেন বা আর্থিক উন্নতি থমকে গিয়েছে, তাঁদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যাবেলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি এক টাকার কয়েন এবং একটি লবঙ্গ হাতে নিন। বাড়ির সামনে কোনো চারমাথার মোড়ে গিয়ে নিজের মাথার চারপাশে ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে (Anti-clockwise) সাতবার ঘুরিয়ে কয়েন ও লবঙ্গটি উল্টো করে ফেলে দিন। মনে রাখবেন, এই কাজ করার পর আর পিছন ফিরে তাকানো চলবে না। জ্যোতিষীর দাবি, এই সহজ ক্রিয়াটি নিষ্ঠার সাথে করলে সারা বছর সুখ-শান্তি ও অর্থাগম বজায় থাকবে।
নতুন বছরে সৌভাগ্য ফেরাতে যা যা বর্জন করবেন নতুন বছর শুরুর আগে ঘর থেকে অশুভ শক্তি দূর করা একান্ত প্রয়োজন। রাহুল দে ৮টি জিনিসের তালিকা দিয়েছেন যা ঘর থেকে দ্রুত সরানো উচিত:
পুরানো ক্যালেন্ডার: ঘরের দেওয়ালে পুরানো ক্যালেন্ডার রাখবেন না। তবে তাতে ভগবানের ছবি থাকলে তা অশ্বত্থ গাছের নীচে রেখে দিন।
ভাঙা জিনিস: ভাঙা বাসনপত্র বা দেবদেবীর ভাঙা মূর্তি ঘরে রাখা অমঙ্গলজনক।
বন্ধ ঘড়ি: উন্নতির চাকা সচল রাখতে বন্ধ ঘড়ি অবিলম্বে বাদ দিন।
পুরানো ঝাঁটা ও আবর্জনা: ঘরের ঝুল পরিষ্কার করুন এবং পুরনো ঝাঁটা ও আবর্জনা বিদায় করুন।
ছেঁড়া পোশাক ও মৃত গাছ: আলমারিতে ছেঁড়া জামাকাপড় এবং বারান্দায় মরে যাওয়া গাছ থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন।
নতুন বছর শুরু হোক পজিটিভ এনার্জি দিয়ে। আপনার মনের অপূর্ণ ইচ্ছা পূর্ণ করতে এই বছর শেষের শাস্ত্রীয় বিধানগুলি মেনে চললে সুফল মিলতে পারে।