বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কায় আবারও আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী বুধবার উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এর ফলে মঙ্গলবার থেকে বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে, মৌসুমি অক্ষরেখা আবারও উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। এটি পাঞ্জাব থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অক্ষরেখার প্রভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ ও আগামীকাল ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া:
আজ, সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাসও বইতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে। কলকাতার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৪ থেকে ৯৩ শতাংশের মধ্যে থাকবে।
বুধবার এবং বৃহস্পতিবার উপকূল ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে এবং শনিবারেও দু’-এক জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকায় অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া:
আবহাওয়া দপ্তর উত্তরবঙ্গের জন্য অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। আজ কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। দার্জিলিং, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল, মঙ্গলবার এই পরিস্থিতি আরও তীব্র হতে পারে, কারণ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
বুধবার এবং বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে। ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা, তোর্সা ও জলঢাকা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে, যার ফলে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।