পূজা শেষে আকাশছোঁয়া বিদ্যুতের বিল, তৃণমূল-সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জুটির বিরুদ্ধে সরাসরি ‘ডাকাতি’র অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা

দুর্গাপূজা শেষ হতেই বিদ্যুতের আকাশছোঁয়া বিল দেখে কার্যত চোখ কপালে উঠেছে বাংলার সাধারণ মানুষের। এই ইস্যুতেই এবার সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কা পরিচালিত সিইএসসি (CESC)-কে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল এবং আরপি-এসজি গ্রুপ জুটি বেঁধে সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে।

তরুণজ্যোতি তিওয়ারি সরাসরি অভিযোগ করেছেন, আরপি-এসজি গ্রুপ তৃণমূলকে ৪৪৪ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। সেই ঋণ এখন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত বিলের পেছনে ‘কমিশন ও কর্পোরেট লোভ’
বিজেপি নেতা এক্স হ্যান্ডেলে (আগে টুইটার) সিইএসসি-র বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের মূল্যের খতিয়ান তুলে ধরে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি:

এলাকা গড় মূল্য (প্রায়) মন্তব্য
কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) ~৭.৩১ টাকা/ইউনিট
বিকানের (রাজস্থান) ~৬.২০ টাকা/ইউনিট
কোটা ও ভরতপুর (রাজস্থান) ~৬.০০ টাকা/ইউনিট (ক্রয়মূল্য মাত্র ৪.২৬ টাকা)
গ্রেটার নয়ডা (উত্তরপ্রদেশ) ৪.৪০–৬.৫০ টাকা/ইউনিটের মধ্যে (ইউনিট অনুযায়ী দর পরিবর্তনশীল)

তরুণজ্যোতির প্রশ্ন, অন্যত্র বিদ্যুতের দর ৪.২৬–৬.২০ টাকা/ইউনিটের মধ্যে থাকলেও, কলকাতায় পরিবারগুলোকে কেন প্রায় ৭০% বেশি অর্থাৎ ৭ টাকার বেশি দিতে হচ্ছে? তাঁর দাবি, এর পিছনে তৃণমূলের কমিশন আর কর্পোরেটের লোভ কাজ করছে।

ছবি কেনা-বেচার পুরনো রহস্য
তরুণজ্যোতি তিওয়ারি অভিযোগ করেছেন, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিয়মিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নগণ্য ছবিগুলো বেশি দামে কিনে নেন। বিনিময়ে তাঁদের গ্রুপ সরকারি সুবিধা পায়। তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, এর আগেও সারদা কাণ্ডের সময় সুদীপ্ত সেন কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে মমতার ছবি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল, যা নিয়ে সিবিআই তদন্তও হয়েছে।

সাধারণ মানুষ এই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, রাজ্য সরকার ঋণ নিলে সেই ঋণ কেন সাধারণ মানুষকে শোধ করতে হবে। অনেকেই এই লেনদেনকে ‘দিনে ডাকাতি’ বলে অভিহিত করেছেন এবং রাজ্য সরকারের বদান্যতায় সিইএসসি ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy