নতুন বছর উদযাপনের জন্য ওড়িশার পুরীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে মাঝপথেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল একটি সাজানো পরিবার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানার রাতুলিয়ায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল পর্যটকদের একটি গাড়ি। ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে ঘাতক গাড়িটিতে আগুন লেগে যাওয়ায় প্রাণ হারালেন পরিবারের কর্তা।
কীভাবে ঘটল এই নারকীয় দুর্ঘটনা?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়ার বাসিন্দা সোমনাথ দোলই তাঁর স্ত্রী অনন্যা এবং মেয়ে শ্রুতিকে নিয়ে এদিন কলকাতা-মুম্বই জাতীয় সড়ক ধরে পুরীর দিকে যাচ্ছিলেন।
নিয়ন্ত্রণহীন ধাক্কা: রাতুলিয়া এলাকায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে।
অগ্নিপিণ্ড গাড়ি: ধাক্কার তীব্রতায় যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে মুহূর্তের মধ্যে গাড়িতে দাউদাউ করে আগুন লেগে যায়।
হতাহতের খবর:
দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পরিবারের প্রধান সোমনাথ দোলইয়ের। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর স্ত্রী অনন্যা দোলই এবং কন্যা শ্রুতি দোলইকে উদ্ধার করেন। তাঁদের তড়িঘড়ি পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনেরই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
তৎপর দমকল ও পুলিশ:
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও গাড়িটি কার্যত কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি চালকের ঘুমিয়ে পড়া এই দুর্ঘটনার কারণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বছরের শেষলগ্নে হাওড়ার এই পরিবারের ওপর নেমে আসা বিপর্যয়ে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।