পরীক্ষার হল থেকে শুরু বিবাদ, বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে ছাত্রের পিঠে ছুরির কোপ! রক্তারক্তি কাণ্ড বনগাঁর স্কুলে

পরীক্ষার হলে সামান্য চুইংগাম খাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে স্কুলের গেটের সামনেই ঘটল মারাত্মক ছুরিকাঘাতের ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর নগেন্দ্রনাথ হাই স্কুলে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে ধারালো ছুরির কোপ মারা হয়েছে পিঠে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, যা নিয়ে এলাকার অভিভাবক ও বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

চুইংগাম নিয়ে বিবাদ, এরপরই প্রাণঘাতী হামলা:

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হলে চুইংগাম খাওয়া নিয়ে নবম শ্রেণির দুই পড়ুয়ার মধ্যে বচসা শুরু হয়। চুইংগাম খাওয়া এক ছাত্রকে তার সহপাঠী পরীক্ষককে বলে দেওয়ার কথা জানালে, সে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই অভিযুক্ত ছাত্র তুহিন স্কুলের গেটের সামনে দলবল নিয়ে অপেক্ষা করছিল। ওই সহপাঠী স্কুল থেকে বেরোতেই তুহিনরা তাকে ধরে মারধর শুরু করে। বন্ধুকে বাঁচাতে দ্রুত ছুটে আসে নবম শ্রেণির আরেক ছাত্র সুনীল দত্ত। সুনীলদের সঙ্গে তুহিন ও তার দলবলের বচসা চলাকালীনই অভিযোগ, তুহিন ব্যাগ থেকে ধারালো ছুরি বার করে সুনীলের পিঠে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সুনীল। ছুরির কোপ মেরেই তুহিন এলাকা ছেড়ে পালায়।

স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ:

পড়ুয়ারা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালেও, অভিযোগ উঠেছে যে, স্কুল কর্তৃপক্ষ জখম ছাত্রকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে উল্টো তার অভিভাবককে ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলে বাড়ি ফিরলে পরিবারের সদস্যরা আঁতকে ওঠেন। জখম সুনীলকে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুলের নিরাপত্তা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তোলা হয়েছে— কীভাবে ছাত্ররা ব্যাগে করে ধারালো ছুরি স্কুলে নিয়ে আসতে পারে? এছাড়া, রক্তমাখা জামা স্কুল কর্তৃপক্ষ রেখে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy