কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওরচাঁদ গেহলটের নাতি দেবেন্দ্র গেহলটের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে নির্যাতন, খুনের চেষ্টা এবং শিশুকন্যাকে অপহরণের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তাঁর স্ত্রী দিব্যা গেহলট। এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের রতলামে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও দেবেন্দ্র এবং তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র গেহলট সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দিব্যা গেহলটের বাপের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের রতলামে এবং শ্বশুরবাড়ি নগদায়। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনার অধীনে দেবেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেই অনুষ্ঠানে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাওরচাঁদ গেহলট, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন-সহ বহু প্রবীণ নেতা-মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
দিব্যার এফআইআর-এ কী অভিযোগ?
দিব্যার অভিযোগগুলি অত্যন্ত গুরুতর:
-
নেশা ও একাধিক সম্পর্ক: বিয়ের আগে থেকেই দেবেন্দ্র মদ এবং মাদকে আসক্ত ছিলেন এবং একাধিক মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল।
-
মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন: বিয়ের পর এসব জানতে পারলে তাঁর ওপর মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। ৫০ লক্ষ টাকা পণ চেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করত।
-
গর্ভবতী অবস্থায় অত্যাচার: ২০২১ সালে অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। দিব্যার অভিযোগ, ‘অনেক সময়ে খেতে দিত না, মারধর করত।’
-
খুনের চেষ্টা: এফআইআর-এ চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সেই দিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে দেবেন্দ্র তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আজ টাকা না আনলে তোকে মেরেই ফেলব।’ এরপর দেবেন্দ্র তাঁকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনি কাঁধ ও কোমরে আঘাত পান।
-
শিশুকন্যা অপহরণ: দিব্যা তাঁর শিশুকন্যাকে অপহরণের অভিযোগও দায়ের করেছেন।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতলাম পুলিশ। গেরুয়া শিবিরের বর্ষীয়ান নেতার নাতির বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।