নোবেল না পেলেও বড় দাবি ট্রাম্পের! ভারত-পাক যুদ্ধ থামানোর জন্য শুল্ক হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? চাঞ্চল্যকর মন্তব্য

ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সংঘাত থামানো নিয়ে আগেও বহুবার দাবি করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছিলেন যে মোট আটটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। এই দাবির পর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার আশা করলেও, তা পূর্ণ হয়নি। তবে নোবেল না পেলেও, ট্রাম্প তাঁর দাবি থেকে সরে আসেননি। উল্টে আরও বড় দাবি করলেন তিনি।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধ থামানোর জন্য তিনি নাকি বিরাট শুল্ক হুমকি দিয়েছিলেন।

‘যুদ্ধ চাইলে শুল্ক চাপাব’:
ট্রাম্প সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, তিনি শুল্ক হুমকি দিয়েই বহু দেশের যুদ্ধ থামিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের দাবি:

“আমি কেবল শুল্কের ভিত্তিতে কয়েকটি যুদ্ধের নিষ্পত্তি করেছি। উদাহরণস্বরূপ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। আমি বলেছিলাম, যদি তোমরা যুদ্ধ করতে চাও এবং তোমাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকে, তাহলে আমি দু’ দেশের উপরই ১০০ শতাংশ, ১৫০ শতাংশ এবং ২০০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করব।”

ট্রাম্পের দাবি, এই শুল্ক-হুমকির ভয়েই নাকি দুই দেশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছে। নতুবা অনন্তকাল এই দুই দেশ সংঘর্ষে লিপ্ত থাকত।

ভারতের অস্বীকার ও ট্রাম্পের চীনের ওপর শুল্ক:
যদিও ট্রাম্পের একাধিকবার একই দাবির পরেও, ভারত বারবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের দাবি বা পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের ‘শুল্ক হুমকি’ দেওয়ার বিষয়টি পুরোনো হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে শুল্ক আরোপ তাঁর কাছে এক নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। দিনকয়েক আগেই ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, ১লা নভেম্বর থেকে সমস্ত চীনা পণ্যের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। চীনের বিরল মাটির খনিজ পদার্থের উপর রফতানি সীমা আরোপের সিদ্ধান্তের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই শুল্ক বৃদ্ধি ও সফ্টওয়্যার রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে:
১. রাজনৈতিক পদক্ষেপ: ট্রাম্প নিজেকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কঠোর নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চান।
২. কৌশলগত দিক: ট্রাম্প শুল্ককে ‘লিভারেজ’ হিসেবে ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীদের আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে বাধ্য করতে চান। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে, শুল্ক আদায়ের চেয়ে ওয়াশিংটনের শর্তে চীনকে ফের আলোচনার টেবিলে ফেরানোর চেষ্টা হতে পারে।

ট্রাম্প এদিন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান সীমান্ত-উত্তেজনা সম্পর্কেও কথা বলেছেন এবং ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি এই সমস্যাটিও সমাধান করতে পারদর্শী।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy