গঙ্গার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ঐতিহাসিক জুবিলি রেল সেতুর (Jubilee Railway Bridge) ঠিক নিচেই দিনের পর দিন চলছে বেআইনি বালি উত্তোলন। নৈহাটির সাহাপাড়া ঘাট এলাকায় বালি মাফিয়াদের এই দৌরাত্ম্যে এখন সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক মদতের দিকে।
অর্জুন সিংয়ের বিস্ফোরক অভিযোগ: ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা অর্জুন সিং এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দাবি করেছেন, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের ‘রক্ষাকবচ’ থাকায় বালি মাফিয়ারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাঁর অভিযোগ, প্রভাবশালী নেতাদের আশীর্বাদ ছাড়া সেতুর এত কাছে এই ধরনের বেআইনি কাজ সম্ভব নয়।
বিপদের মুখে জুবিলি ব্রিজ: বিশেষজ্ঞদের মতে, সেতুর পিলারের চারপাশ থেকে বালি তোলা হলে নদীর গতিপথ বদলে যায় এবং পিলারের নিচের মাটি সরে যেতে শুরু করে। এতে দীর্ঘমেয়াদে রেল সেতুর ভিত্তি দুর্বল হয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গভীর রাতে ভারী যন্ত্রপাতি লাগিয়ে লরি লরি বালি পাচার করা হচ্ছে, অথচ প্রশাসন নীরব।
প্রশাসনের ভূমিকা: বিরোধীরা একে ‘শাসক দলের মদত’ বললেও শাসক শিবির এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছে। নৈহাটি থানার পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে পরিবেশবিদদের মতে, এখনই কড়া ব্যবস্থা না নিলে তীরভাঙন এবং পরিবেশগত বিপর্যয় রোখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।