দেড় মাস ধরে বন্ধ সরকারি এক্স-রে, বেসরকারি ল্যাবগুলোর ‘পোয়াবারো’! ক্ষোভে ফুঁসছেন রোগীরা

জেলা সদর হাসপাতালের একমাত্র ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আর এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন বেসরকারি এক্স-রে ল্যাবগুলি রোগীদের কাছ থেকে চড়া দাম আদায় করছে বলে অভিযোগ। যেখানে সরকারি হাসপাতালে নামমাত্র খরচে বা বিনামূল্যে এক্স-রে করা যেত, সেখানে এখন রোগীদের গুনতে হচ্ছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

জানা গিয়েছে, গত ৬ নভেম্বর থেকে হাসপাতালের পিপিবি (PPP) মডেলের মেশিনটি অকেজো হয়ে রয়েছে। দেড় মাস অতিক্রান্ত হলেও মেশিনটি সারাই না হওয়ায় ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। অনেকেরই অভিযোগ, বেসরকারি ল্যাবগুলিকে মুনাফা করার সুযোগ করে দিতেই পরিকল্পিতভাবে মেশিনটি সারাই করা হচ্ছে না। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুমন কাঞ্জিলাল এই অনিয়মের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ওই ল্যাবগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মন্ডল আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, মেশিনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইঞ্জিনিয়াররা কাজ শুরু করেছেন। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ততদিন পর্যন্ত গরিব রোগীদের পকেটে যে টান পড়ছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না সাধারণ মানুষের।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy