দুর্গাপুর গণধর্ষণের তদন্তে গতি আনতে নতুন পদক্ষেপ, অভিযুক্তদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি, নজর সিসি ক্যামেরার ফুটেজে!

দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রীকে গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে গতি আনতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল পুলিশ। মঙ্গলবার অভিযুক্ত শেখ রিয়াজউদ্দিন এবং শেখ নাসির উদ্দিনকে তদন্তের স্বার্থে তাদের বাড়ি, বিজড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা ও দুর্গাপুর থানার পুলিশের যৌথ টিম পুরো অভিযানে উপস্থিত ছিল। স্থানীয়দের একাংশকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই অভিযানের মাধ্যমে তদন্ত আরও এগিয়ে যাবে এবং ঘটনার পেছনের আসল রহস্য শিগগিরই উন্মোচিত হবে।

মোট ৫ জন গ্রেফতার, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সন্দেহ
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছাত্রীর এক সহপাঠী-সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হলো— অপু বাউরি, ফিরদৌস শেখ এবং শেখ রিয়াজউদ্দিন-সহ আরও দুই অভিযুক্ত।

ঘটনার তদন্তে পুলিশের নজর রয়েছে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে। ফুটেজে দেখা যাওয়া সময়ভিত্তিক চিত্রটি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দিয়েছে:

সন্ধ্যা ৭:৫৮: ছাত্রী এবং তাঁর সহপাঠীকে ক্যাম্পাস থেকে বেরোতে দেখা যায়।

রাত ৮:৪২: ছাত্রীর সহপাঠী একা মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে ঢোকেন, কয়েক মিনিট ঘোরাঘুরি করেন।

রাত ৮:৪৮: সহপাঠী ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান।

রাত ৯:২৯: ছাত্রীকে নিয়ে সহপাঠী বন্ধু ফের ক্যাম্পাসে ফেরেন।

রাত ৯:৩১: ছাত্রী গার্লস হোস্টেলে ঢোকেন।

হোস্টেলে ঢোকার পরেই ছাত্রী সহপাঠীদের ঘটনাটি জানান এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হস্টেলের কাছে জঙ্গলে এই গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠায়, পুলিশ এই সময়ের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার সূত্রগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ধৃতদের জেরা করে এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy