নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল বিতর্ক চলছে—তৃণমূল বলছে ‘ভাঁওতা’, আর বিজেপি বলছে ‘আবেদন করলেই মিলবে নাগরিকত্ব’—ঠিক সেই সময়েই এই আইনের কার্যকারিতা প্রমাণ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন নদিয়ার রানাঘাটের এক বাংলাদেশি দম্পতি।
নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া:
নদিয়ার তাহেরপুর থানার অন্তর্গত কামগাছি জয়পুরের বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার এবং তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে বসবাস করছিলেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই ভারতীয় আধার কার্ড ছিল।
আবেদনের সময়: তাঁরা ১০ অক্টোবর সিএএ ক্যাম্পে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন।
সার্টিফিকেট প্রাপ্তি: মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ১৯ নভেম্বর তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয় ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট।
লাতুরাম জানান, এসআইআর (SIR) আবহে যখন তাঁরা চিন্তিত ছিলেন কারণ তাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল না, ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা ক্যাম্পে আবেদন করেন। এই সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ায় এই দম্পতি অত্যন্ত খুশি। এবার তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
নতুন ভারতীয় নাগরিকদের মন্তব্য:
পদ্ম সিকদার জানান, “আমরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। আর সেই শংসাপত্র আমরা হাতে পেয়েছি। আমরা খুব খুশি এবং সকলকে অনুরোধ করব, কেন্দ্র সরকার যে প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্বের আবেদন পূরণ করতে বলছে সকলে তা করুন।”
লাতুরাম সিকদার বাংলাদেশের কট্টরপন্থীদের অত্যাচারে এক কাপড়ে ৩৫-৩৬ বছর আগে এ দেশে চলে এসেছিলেন। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো বলেই ছিলেন যে হিন্দু শরণার্থীদের বাংলাদেশ যেতে হবে না। আমাদের যদি নাম নাও থাকে তাহলেও আমরা নাগরিকত্বের আবেদন করলে কার্ড পাব। এই CAA কার্ডের মধ্যে দিয়ে আমরা ভোটাধিকার ও নাগরিকত্ব পাব।”
বিজেপির প্রতিক্রিয়া:
রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই জানিয়েছিলাম যে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দুই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আগামী দিনে যারা আবেদন করবেন তারা ও নাগরিকত্ব পাবেন।”