টোল প্লাজা নয়, ‘প্রকাশ্য লুটের দোকান’! ১৮টি গেটে তালা ঝুলিয়ে মান সরকার সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিল

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সাধারণ মানুষের জীবনে সরাসরি স্বস্তি এনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। রাজ্য সরকার স্থায়ীভাবে ১৮টি টোল প্লাজা বন্ধ করে দিয়েছে, যা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রীর কাঁধ থেকে একটি বড় আর্থিক বোঝা নামিয়ে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রতিদিন জনগণের ৬১ লাখ টাকারও বেশি সাশ্রয় হচ্ছে, যা সরাসরি তাঁদের পকেটে যাচ্ছে।

লুধিয়ানা, বরনালা, পাটিয়ালা, ফাজিলকা এবং মোগা সহ পাঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো এখন টোল-মুক্ত। পণ্যবাহী ট্রাক থেকে শুরু করে পারিবারিক গাড়ি—সবাই সমানভাবে লাভবান হচ্ছে। পরিবহন খরচ কমার ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও কমতে পারে, যা সাধারণ মানুষের কাছে তাৎক্ষণিক আর্থিক স্বস্তি এনেছে।

‘প্রকাশ্য লুটের দোকান’ বন্ধ:
মুখ্যমন্ত্রী মান টোল প্লাজাগুলিকে “প্রকাশ্য লুটের দোকান” বলে অভিহিত করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে পূর্ববর্তী সরকারগুলি সাধারণ মানুষের এই ভোগান্তি উপেক্ষা করেছিল। তিনি ঘোষণা করেছেন যে তাঁর সরকার পুঁজিপতিদের জন্য নয়, বরং সাধারণ নাগরিকদের জন্য কাজ করে। এই পদক্ষেপটি প্রমাণ করে যে সরকারের কাছে মানুষের ছোটখাটো অভিযোগেরও গুরুত্ব রয়েছে।

গণপূর্ত মন্ত্রী হরভজন সিং ইটিও এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক স্বস্তি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, এর ফলে প্রায় ৫৩৫ কিলোমিটার হাইওয়ে টোল-মুক্ত হয়েছে। মন্ত্রী এবং পদস্থ কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপকে শুধু অর্থনৈতিক নয়, একটি সামাজিক সংস্কার হিসেবে প্রশংসা করেছেন, যা কর্পোরেট লাভের চেয়ে মানুষের অধিকারকে ঊর্ধ্বে রাখে।

পরিবর্তন ও আস্থা বৃদ্ধি:
বছরের পর বছর ধরে টোল প্লাজাগুলি হয়রানি ও শোষণের প্রতীক ছিল। এখন সেই গেটগুলি ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে “রাস্তা ভাড়া দেওয়ার” যুগ চিরতরে শেষ। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার সাধারণ যাত্রীদের প্রতি সেবা ও সম্মানের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, যা পাঞ্জাবের শাসনব্যবস্থার চরিত্রকে বদলে দিয়েছে এবং জনগণের আস্থা বাড়িয়েছে। টোল-মুক্ত এই রাস্তাগুলি পাঞ্জাবকে ‘রাঙলা পাঞ্জাব’ (সমৃদ্ধ পাঞ্জাব) গড়ার লক্ষ্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy