কথায় বলে, ‘সেকরা ঠুকঠাক, কামারের এক ঘা!’ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাত্র ২২ কিলোমিটার চওড়া শিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ কেটে দেওয়ার যে ফাঁপা হুঁশিয়ারি বাংলাদেশের ছাত্র-যুব নেতাদের মুখে শোনা যাচ্ছিল, ভারতের এক পদক্ষেপে তার হাওয়া বেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের চিন-ঘনিষ্ঠতা এবং সীমান্তে চিনা বায়ুসেনা ঘাঁটি গড়ার তোড়জোড় দেখে এবার শিলিগুড়ি করিডরকে আক্ষরিক অর্থেই এক অভেদ্য দুর্গে পরিণত করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, চিকেনস নেক-এর সুরক্ষায় ভারত সেখানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা S-400 মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে। শুধু তাই নয়, কিষাণগঞ্জ, বামনি এবং পশ্চিমবঙ্গের চোপড়াতে তৈরি করা হয়েছে তিনটি শক্তিশালী সেনা-ঘাঁটি। শত্রুপক্ষের যেকোনো দুঃসাহস গুঁড়িয়ে দিতে মজুত রাখা হয়েছে শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী ব্রহ্মস মিসাইল। আকাশপথে নিরাপত্তার জন্য হাসিমারা এয়ার বেসে প্রস্তুত রয়েছে রাফালে এবং মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান।
স্থলপথে মোকাবিলার জন্য সুকনাতে রাখা হয়েছে সেনার শক্তিশালী ‘ত্রিশক্তি কোর’ এবং T-90 ভীষ্ম ব্যাটল ট্যাঙ্ক। নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সেনার নবতম ড্রোন বাহিনী ‘অশনি প্লাটুন’ এবং আকাশ অ্যাডভান্সড মিসাইল সিস্টেম। এছাড়া আত্মঘাতী কামিকাজে ড্রোন শত্রুর যেকোনো অনুপ্রবেশের চেষ্টা মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ করে দিতে সক্ষম।
ড. ইউনূস যেভাবে চিনের কাছে ‘সেভেন সিস্টার্স’-কে ল্যান্ডলকড বলে বির্তক উস্কে দিয়েছেন এবং লালমণিরহাটে চিনকে ঘাঁটি গড়ার সুযোগ দিচ্ছেন, তারই পালটা হিসেবে ভারত ৩৬০ ডিগ্রি নিরাপত্তার জন্য বাড়তি ৮,১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। চিনা আগ্রাসন এবং বাংলাদেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারত এখন পুরোপুরি যুদ্ধংদেহী মেজাজে। এই সমর-সজ্জা দেখে বাংলাদেশের সেইসব নেতাদের এখন কার্যত মুখে কুলুপ আঁটার দশা।