বাংলাদেশি কিছু মহলের পক্ষ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জীবনরেখা বলে পরিচিত ‘শিলিগুড়ি করিডোর’ বা ‘চিকেনস নেক’ নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্যের পালটা কড়া জবাব দিল নয়াদিল্লি। কেবল কূটনৈতিক স্তরে নয়, সামরিকভাবেও এই ২২ কিলোমিটার চওড়া করিডোরকে এক দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করেছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই স্পর্শকাতর অঞ্চলে নজিরবিহীনভাবে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও বিশাল বাহিনী মোতায়েন সম্পন্ন হয়েছে।
করিডোর পাহাড়ে ব্রহ্মস ও S-400: শিলিগুড়ি করিডোরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত এবার মোতায়েন করেছে বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ‘ব্রহ্মস’। এর পাশাপাশি আকাশপথে যে কোনো আক্রমণ রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে রাশিয়ার তৈরি ‘S-400’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এছাড়া সুকনাতে টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কসহ ‘ত্রিশক্তি কোর’ সর্বক্ষণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। হাসিমারা এয়ারবেসে রাখা হয়েছে ঘাতক ‘রাফাল’ ও ‘মিগ’ যুদ্ধবিমান, যা কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই শত্রুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে সক্ষম।
কেন এই সাজসাজ রব? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানি সামরিক মহলের গোপন আঁতাত এবং চিনের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা ভারতকে এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। লালমণিরহাটে চিনা বায়ুসেনার গতিবিধি এবং তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে তিক্ততার জেরে ভারত আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
৩৬০ ডিগ্রি নজরদারি ও আকাশ সুরক্ষা: আকাশ প্রতিরক্ষায় ভারত বহুস্তরীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। S-400 ছাড়াও এখানে রয়েছে ইজরায়েলি মিডিয়াম রেঞ্জ মিসাইল এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আকাশ’ মিসাইল সিস্টেম। নজরদারির জন্য ‘অশনি প্লাটুন’ নামে একটি অত্যাধুনিক ড্রোন ইউনিট এবং আত্মঘাতী ‘কামিকাজে ড্রোন’ মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে জল, স্থল ও আকাশ—তিন পথেই শিলিগুড়ি করিডোর এখন শত্রুর ধরাছোঁয়ার বাইরে।