২১ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। নেপালের হিমশীতল আবহাওয়ায় ফের জ্বলে উঠল ইস্টবেঙ্গলের সাফল্যের মশাল। ২০০৪ সালে সান মিগুয়েল কাপ জয়ের পর ২০২৫ সালে সেই নেপালের মাটিতেই পঞ্চম আন্তর্জাতিক ট্রফিটি ঘরে তুলল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাব। তবে এবার কৃতিত্ব পুরুষ দলের নয়, ইতিহাস গড়ল ইস্টবেঙ্গলের প্রমীলা ব্রিগেড। ফাইনালে আয়োজক দেশ নেপালের শক্তিশালী এপিএফ ফুটবল ক্লাবকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রথম ‘সাফ উইমেন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ’ শিরোপা জিতল অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের ছাত্রীরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল লাল-হলুদ মেয়েদের। ২২ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন উগান্ডার তারকা স্ট্রাইকার ফাজিলা ইকওয়াপুত। ৩৫ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শিল্কি দেবী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই (৪৬ মিনিট) নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে নেপালের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ফাজিলা (৯ গোল)। গোটা টুর্নামেন্টে একটিও গোল হজম না করার অবিশ্বাস্য রেকর্ড বজায় রেখেই চ্যাম্পিয়ন হলো ইস্টবেঙ্গল।
এই জয়ের ফলে ভারতের প্রথম ক্লাব হিসেবে পুরুষ ও মহিলা— উভয় বিভাগেই আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের অনন্য নজির গড়ল লাল-হলুদ। গ্রুপ পর্বে ভুটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্লাবগুলিকে উড়িয়ে দেওয়ার পর ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা এখন মশাল বাহিনী। দেশের ফুটবলের ডামাডোলের মাঝে ইস্টবেঙ্গল মেয়েদের এই সাফল্য ভারতীয় ফুটবলে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল।