বড়দিন এবং বছরের শেষ লগ্নে যখন পর্যটকদের ভিড়ে উপচে পড়ছে উত্তরবঙ্গ, ঠিক তখনই পাহাড় ও সমতলের গাড়ি চালকদের মধ্যকার বিবাদ মিটে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বুধবার দার্জিলিংয়ের লালকুঠিতে জিটিএ (GTA) এবং গাড়ি চালক সংগঠনগুলির মধ্যে এক ফলপ্রসূ বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, আপাতত কোনও আন্দোলন নয়, বরং আগামিকাল থেকেই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করবে।
বিবাদের প্রেক্ষাপট: উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই সমতলের গাড়িগুলিকে পাহাড়ের দর্শনীয় স্থান বা সাইটসিন-এ যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। এর প্রতিবাদে সমতলের চালকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, ২৩ ডিসেম্বর থেকে পাহাড়ের গাড়িগুলি সমতলে কেবল যাত্রী ‘ড্রপ’ করতে পারবে, কিন্তু সমতল থেকে কোনও যাত্রী তুলতে পারবে না। পালটা পাহাড়ের চালকরাও কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন। দুই পক্ষের এই অনড় অবস্থানের জেরে বড়দিনের মুখে পর্যটকরা মাঝপথে আটকে পড়ার বা চরম ভোগান্তির আশঙ্কায় ছিলেন।
বৈঠকের নির্যাস: আজকের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জিটিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ চৌহান জানান যে, আপাতত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়েছে। টাইগার হিল সহ পাহাড়ের সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রে কাল থেকে গাড়ি উঠবে। তিনি আরও জানান, স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি পুনরায় উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।
পর্যটকদের স্বস্তি: ট্যুর অপারেটরদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উৎসবের মরশুমে এই সিদ্ধান্ত পর্যটন শিল্পের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। ইতিমধ্যেই বহু পর্যটক বুকিং বাতিল করার কথা ভাবছিলেন, কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এখন আর কোনও বাধা রইল না। কাল থেকে টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখা বা কাঞ্চনজঙ্ঘার সান্নিধ্যে যাওয়ার পথে পর্যটকদের আর কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হবে না।