উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে হাতে কোদাল! পুরী থেকে গাছ নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে এলেন ‘সবুজ দূত’, অভিষেকের ‘সবুজ ডায়মন্ড হারবার’ লক্ষ‍্যে বড় পদক্ষেপ

এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগের সাক্ষী হলো ডায়মন্ড হারবার ফকির চাঁদ কলেজ প্রাঙ্গণ। ওড়িশার পুরী থেকে বিশেষ ধরনের গাছ নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে এসে বৃক্ষরোপণ করলেন সত্যনারায়ণ দাস। তাঁর এই পরিবেশবান্ধব কাজে কাঁধে কাঁধ মেলালেন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা।

প্রাক্তন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সবুজে মুড়ে দেওয়া ডায়মন্ড হারবার’ লক্ষ‍্যপূরণে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদ। সেই একই লক্ষ‍্যে কাজ করছে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা। কলেজের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি পড়ুয়া একটি করে গাছ লাগানোর মাধ্যমে সবুজায়নকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উচ্চপদ ছেড়ে নতুন যাত্রা:

জানা গিয়েছে, সত্যনারায়ণ দাস পেশাগতভাবে ছিলেন একজন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নামী সংস্থায় উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তাঁর নেশা—সোশ্যাল এনভায়রনমেন্ট চেঞ্জার হওয়া। পরিবেশ সচেতনতাই ছিল তাঁর সামাজিক পথনির্দেশিকার মূল ভিত্তি। এই নেশার টানেই তিনি তাঁর মোটা বেতনের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উচ্চপদস্থ চাকরি ছেড়ে নেমে পড়েছেন এক নতুন যাত্রায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান তিনি এবং মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন সবুজের বার্তা।

সত্যনারায়ণ ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছলে, ফকির চাঁদ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁকে সাদরে কলেজে নিয়ে আসেন। কলেজের মূল ফটক থেকে কাঁধে ঝুড়ি ভরা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহনকারী তুলসী-সহ বিভিন্ন গাছের চারা নিয়ে তিনি কলেজ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন।

শুধু কলেজ প্রাঙ্গণই নয়, ডায়মন্ড হারবারের নদীর পাড়-সহ আরও একাধিক জায়গায় তিনি গাছ লাগাবেন। শুধু চারা বিতরণই নয়, তিনি নিজে মাটি কোপাচ্ছেন, চারা লাগাচ্ছেন এবং নিজের হাতে গাছে জলও দিচ্ছেন। তাঁর এই আন্তরিকতায় মুগ্ধ কলেজের পড়ুয়া থেকে কর্মচারী সকলেই।

কলিঙ্গ থেকে বঙ্গে এসে এই গাছ বসানোয় খুশি ফকির চাঁদ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। এ নিয়ে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি নৈঋত রায় জানিয়েছেন, সত্যনারায়ণ দাসের এই ঘটনা সকলের কাছে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তাঁরাও বৃক্ষরোপণকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন এবং এই কাজে সত্যনারায়ণ দাসকে সবরকম সহযোগিতা করেছেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy