বিহারের রাজনীতিতে ফের উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। এবার খোদ লালু প্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তথা বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদবকে ‘খুনের হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আতঙ্কে নিজের নিরাপত্তা বাড়াতে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
ঠিক কী ঘটেছে? তেজ প্রতাপ যাদবের অভিযোগ, তাঁর দল জনশক্তি জনতা দলের (JJD) বহিষ্কৃত জাতীয় মুখপাত্র সন্তোষ রেণু যাদব তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার গালিগালাজ করছেন এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। তেজ প্রতাপ জানান, এই হুমকির পর থেকেই তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই মর্মে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকে একটি চিঠিও লিখেছেন।
সরকারের প্রতিক্রিয়া: বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছে না বিহার সরকার। উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “হ্যাঁ, আমি তেজ প্রতাপের চিঠি পেয়েছি। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রাবড়ি দেবীর বাংলোয় ‘গুপ্তধন’? এদিকে তেজ প্রতাপের খুনের হুমকির মাঝেই নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছে জেডিইউ (JDU)। দলের মুখপাত্র নীরজ কুমারের দাবি, লালু পরিবারের ১০ সার্কুলার রোডের বাংলোর নিচে একটি গোপন বেসমেন্ট থাকতে পারে, যেখানে সোনা, রুপো এবং বিপুল নগদ টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
পাল্টা চ্যালেঞ্জ তেজ প্রতাপের: এই অভিযোগের জবাবে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তেজ প্রতাপ। তিনি বলেন, “এমন কোনও গোপন বেসমেন্ট বা ধনসম্পদ নেই। যদি ওদের বিশ্বাস না হয়, তবে আমাদের বাসভবনে এসে নিজেরা পরিদর্শন করে যাক। সব সত্যি সামনে চলে আসবে।” বাংলো খালি করার জল্পনা নিয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন লালু-পুত্র।
খুন করার হুমকি থেকে শুরু করে বাড়ির নিচে গুপ্তধনের অভিযোগ— সব মিলিয়ে বছরের শেষে বিহারের রাজনীতি এখন সরগরম।