আনন্দ-উৎসবে ইতি টেনে এবার বিষাদের সুর। মহেশতলায় হুগলি নদীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে রাতভর চলল প্রতিমা বিসর্জন পর্ব। মহেশতলা থানা এবং থানা উৎসব সমন্বয় সমিতির যৌথ পরিচালনায় এই বছর নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে নিরঞ্জনের কাজ।
সমন্বয় কমিটি সূত্রে খবর, মহেশতলার মোট ৮০টি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ঘাটে। এর মধ্যে বাটা ঘাটে ১৫টি এবং নুঙ্গি ঘাটে ১০টি প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছে। এছাড়াও পালপাড়া ঘাট, আখড়া ঘাট, ভীম ঘাট, সরশুনা পার্ক ঘাট, ব্যানার্জিহাট ঘাট এবং শুকুন্তলা ঘাটে বাকি প্রতিমাগুলির নিরঞ্জন হয়েছে। বারোয়ারি পুজোর পাশাপাশি বেশ কিছু বাড়ির প্রতিমাও বিসর্জন করা হয়েছে।
গঙ্গাকে দূষণমুক্ত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ
এবছর গঙ্গাকে দূষণমুক্ত রাখতে মহেশতলা থানা ও সমন্বয় কমিটি এক নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিটি বিসর্জন ঘাটে একটি নির্দিষ্ট স্থান তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে ফুল, বেলপাতা, চাঁদমালা, ঘট সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রক্রিয়াকরণ: এই সংগৃহীত জিনিসপত্র থেকে জৈব ও অজৈব উপকরণ আলাদা করে মহেশতলা পৌরসভা নিয়ে যাবে। এরপর সেগুলো প্রক্রিয়াকরণ করা হবে।
বিসর্জনের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বদা সতর্ক ছিল পুলিশ। রিভার ট্র্যাফিকিং ব্যবস্থা সহ ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বৃষ্টির বাধা সত্ত্বেও নির্বিঘ্নে সমাপ্ত
উৎসব সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে সুদীপ রায় জানিয়েছেন, আনন্দের দিনগুলি কেটে যাওয়ার পর বিষাদের এই সময়ে কিছু অসুবিধা সৃষ্টি করেছিল বৃষ্টি। তবে থানা ও সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে তা সত্ত্বেও সমস্ত কাজ নির্বিঘ্নে ও সফলভাবে সেরে ফেলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়েই এবছরের মতো একটি বড় কাজ শেষ হলো। পরের বছর আরও বড় পরিসরে এই কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন সমন্বয় কমিটির সদস্যরা।