‘আই লাভ মহম্মদ’ বিতর্কে অগ্নিগর্ভ উত্তরপ্রদেশ! বরেলিতে চরম সতর্কতা, বন্ধ ইন্টারনেট, আকাশে উড়ছে ড্রোন

উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে (Bareilly) গত সপ্তাহের ‘আই লাভ মহম্মদ’ (I Love Muhammad Row) পোস্টার ঘিরে তৈরি হওয়া হিংসার জেরে শুক্রবার নামাজের আগে থেকে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে থেকে শনিবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত বরেলি-সহ আশপাশের চার জেলায় সমস্ত ধরনের ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ভুয়ো খবর রটানো ও সামাজিক মাধ্যমে উসকানি রুখতেই এই পদক্ষেপ।

পথে নিরাপত্তা বাহিনী, আকাশে ড্রোন
শুধু ইন্টারনেট বন্ধই নয়, গোটা বরেলি শহরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহরকে চারটি সুপার জোন ও চারটি বিশেষ জোনে ভাগ করা হয়েছে এবং প্রতিটি অঞ্চলে পুলিশ, পিএসি ও র‌্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।

নজরদারি: আকাশে নজরদারির জন্য প্রশাসন ড্রোনও ব্যবহার করছে।

ধর্মীয় নেতাদের নির্দেশ: প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়েছে, নামাজ শেষে ধর্মীয় নেতাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে জনসমাগম এড়ানো যায়।

হাই অ্যালার্ট: শাহজাহানপুর, পিলভিট সহ একাধিক জেলাতেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, যাতে বরেলির অশান্তি আশপাশের জেলায় না ছড়ায়।

কীভাবে ছড়াল হিংসা?
গত সপ্তাহে ধর্মীয় নেতা তৌকির রাজা খান ‘আই লাভ মহম্মদ’ প্রচারের সমর্থনে একটি মিছিল ডেকেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনুমতি না মেলায় তিনি মিছিল বাতিলের ঘোষণা করেন। তাতেই জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং মসজিদের বাইরে প্রায় দু’হাজার জন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় পাথর ছোড়া। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে, এই সপ্তাহের নামাজের আগে আলা হজরত দরগার প্রধান মৌলানা আহসান রাজান খান স্থানীয় মুসলিমদের উদ্দেশে শান্তির আবেদন করেছেন এবং নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।

রাজনৈতিক তরজা
এই ঘটনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এআইএমআইএ নেতা আসাউদ্দিন ওয়েইসি মন্তব্য করেছেন,

“কী বিচিত্র দেশ! এদেশে আই লাভ মোদী বললে মিডিয়া পর্যন্ত হাততালি দেয়। অথচ আই লাভ মহম্মদ বলা অপরাধ।”

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের বরেলির পর মহারাষ্ট্রের অহল্যানগরেও একই ইস্যুতে গোলমাল হয়েছে বলে জানা গেছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy