রাজ্যের সরকারি অফিসের চরম দুর্দশার এক করুণ চিত্র সামনে এল জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতরে। PWD মোড়ে ঝা চকচকে বিল্ডিংয়ে অফিস হলেও, কর্মীদের জন্য পানীয় জলের ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ ১১ মাস ধরে অফিসের শৌচাগারের সাফাইকর্মীদের বেতন বকেয়া রয়েছে, যার ফলে শৌচাগারের পরিচ্ছন্নতাও প্রশ্নের মুখে।
অফিসের খরচ চালানোর জন্য কর্মীদের নিজেদের পকেটের টাকা ব্যবহার করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। খাতা, ফটোকপির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ কর্মীরা নিজেরাই কিনে কাজ চালাচ্ছেন। এমনকি, বকেয়া বিলের কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, যা পরে অনুরোধ করে এবং বিল মিটিয়ে সচল করা হয়েছে।
নতুন স্কুল পরিদর্শক কাজে যোগ দিলেও অর্থের অভাবে তাঁর নামের নেম প্লেটও পাল্টানো হয়নি। এর থেকেও বড় সমস্যা হলো, দফতরে কোনো গাড়ি না থাকায় স্কুল পরিদর্শক দূর-দূরান্তে পরিদর্শনে যেতে পারছেন না। জলপাইগুড়ি জেলায় জুনিয়র হাই এবং মাধ্যমিক স্তরের প্রায় সাড়ে তিনশো স্কুল রয়েছে। গাড়ি না থাকায় প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল পরিদর্শন পুরোপুরি বন্ধ। পরিদর্শনে যেতে হলে স্কুল পরিদর্শককে মোটর বাইক বা ই-রিক্সায় ভরসা করতে হচ্ছে।
অভিযোগ, দফতর থেকে খরচের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অর্থ চেয়ে পাঠানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এই অব্যবস্থার কারণে প্রায় সাড়ে তিনশো স্কুলের পরিদর্শন কার্যত বন্ধ। তবে, জলপাইগুড়ি জেলার স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুজিত সরকার এই গুরুতর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।