নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া পরেশনাথপুর এলাকায় এক অবসরপ্রাপ্ত যুব কল্যাণ দফতরের কর্মীর বাড়িতে ফলন হওয়া এক বিশাল কলার কাঁদি নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নিরঞ্জন সরকার নামের ওই ব্যক্তির কলার কাঁদি আকারে এতটাই বড় যে তা গাছের উচ্চতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এমনকি, এটিকে রাখার জন্য রীতিমতো মাটিতে গর্ত করে স্থান দিতে হয়েছে। কলার কাঁদির মাটিকে ‘চুম্বন’ করার এই দৃশ্য দেখে নিরঞ্জন বাবু এর নাম দিয়েছেন—’ভূমি চুম্বন হাজারি কলা’।
২০১৯ সালে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নিরঞ্জন সরকার, যিনি বাবার সূত্রে কৃষি ও বৃক্ষরোপণে বিশেষ আগ্রহী, বেঙ্গালুরুতে চাষ হওয়া এক বিশেষ প্রজাতির ‘হাজারি কলা’ সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপর একটি চারা সংগ্রহ করে তিনি বাড়িতে সযত্নে তা রোপণ করেন। বিশেষ সার ছাড়াই শুধুমাত্র নিয়মিত জল ও জৈব সারের পরিচর্যায় এই গাছটি বেড়ে ওঠে।
তাঁর দাবি, এক বছর আগে চারাটি লাগানোর মাত্র দুই মাস পর মোচা বের হয়। এর প্রায় আট মাস পরও সেই মোচা থেকে এখনও কলার ছড়া বেরিয়ে চলেছে। বর্তমানে কলার কাঁদিটির উচ্চতা সাত ফুট ছাড়িয়ে গেলেও এর বৃদ্ধি এখনও অব্যাহত। আকারে ছোট হলেও এই কলা অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু।
নিজের এই সাফল্য নিয়ে নিরঞ্জন সরকার বলেন, “শুনেছিলাম এই কলা গাছ মাটি পর্যন্ত যায়। নিজের হাতে এই ফলন দেখে আমি খুশি। এলাকার মানুষ ভালোবেসে আমার এই ফলনের নাম দিয়েছেন ‘ভূমি চুম্বন হাজারি কলা’।” প্রতিবেশী ও এলাকার মানুষেরা প্রতিদিন এই অত্যাশ্চর্য ফলন দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন নিরঞ্জন বাবুর বাড়িতে। স্থানীয় কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের অধ্যক্ষ রাজকুমার শর্মা জানান, এই জাতীয় কলাগাছ পশ্চিমবঙ্গে চাষের জন্য খুব একটা অনুকূল না হলেও শখের বশে অনেকে চাষ করছেন।