তৃণমূলের দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্র-র মধ্যেকার দ্বন্দ্ব এখন চরমে। সম্প্রতি মহুয়াকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে আক্রমণ করে একটি পুরোনো ভিডিও পোস্ট করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় তৃণমূলের অভ্যন্তরে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে ২০২৩ সালের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি সংসদে মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর হয়ে বক্তব্য রাখছেন। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সময় কল্যাণ তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি লিখেছেন, “২০২৩ সালে যখন শ্রীমতি মৈত্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন, তখন আমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম… আজ, তিনি আমাকে একজন নারী-বিদ্বেষী বলে সেই সমর্থনের প্রতিদান দিচ্ছেন।” এরপর তিনি আরও বলেন, “যাঁর মৌলিক কৃতজ্ঞতার অভাব রয়েছে, তাঁকে রক্ষা করার জন্য আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি।”
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কল্যাণ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে মহুয়ার হয়ে বক্তব্য রাখার জন্য বারবার সময় চাইছেন। তিনি বলেন, মহুয়াকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক।
দুই সাংসদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় সম্প্রতি যখন কল্যাণ মহুয়াকে ‘শূকর’ বলে আক্রমণ করেন। এর জবাবে মহুয়া কল্যাণকে ‘নারী-বিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দেন। এরপর গতকাল সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে নাম না করে এই সংঘাতের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকের পর কল্যাণ লোকসভায় দলের চিফ হুইপের পদ থেকে ইস্তফা দেন। ইস্তফার পর কল্যাণ মহুয়াকে তোপ দেগে বলেছিলেন, “ভাল ভাল শাড়ি পরলেই তো আর বড় কেউ হওয়া যায় না।”
In 2023, I stood by Ms. Moitra when she was under fire in Parliament — I did so out of conviction, not compulsion. Today, she repays that support by calling me a misogynist. I owe the nation an apology for having defended someone who clearly lacks basic gratitude. Let people see… pic.twitter.com/n1MIUpVM0J
— Kalyan Banerjee (@KBanerjee_AITC) August 5, 2025
কল্যাণের এই নতুন পোস্টের পর রাজনৈতিক মহলের নজর এখন মহুয়ার প্রতিক্রিয়ার দিকে। এই সংঘাত তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, তা সময়ই বলবে।