উজ্জ্বল রঙের রসালো ফল স্ট্রবেরি, দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, স্বাদেও অনন্য। একসময় শুধু ইউরোপের কয়েকটি দেশে এর চাষ হলেও বর্তমানে সারা বিশ্বেই এটি সহজলভ্য। আমাদের দেশেও এখন স্ট্রবেরির ব্যাপক চাষ হচ্ছে। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি কেবল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ নয়, এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও পাওয়া যায়। স্ট্রবেরি নিয়মিত খেলে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
স্ট্রবেরির বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত স্ট্রবেরি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
২. স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়ক: এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
৩. ক্যানসার প্রতিরোধক: ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি যেকোনো ধরনের টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৪. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে: স্ট্রবেরিতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন, ভিটামিন সি এবং ফাইটোকেমিক্যালস নার্ভ সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া, এতে থাকা পটাশিয়াম মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বাড়ায়, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
৫. ত্বকের তারুণ্যতা বজায় রাখে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি ত্বকের তারুণ্যতা ধরে রাখতে অত্যন্ত উপকারী।
৬. চোখের সুরক্ষায়: চোখ শুকিয়ে যাওয়া, মাসকুলার ডিজেনারেশন, দৃষ্টিশক্তির সমস্যাসহ চোখের যেকোনো ধরনের সংক্রমণ কমাতে স্ট্রবেরি সাহায্য করে।
৭. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ: নিয়মিত স্ট্রবেরি খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
৮. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় স্ট্রবেরি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় স্ট্রবেরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। এছাড়া, সাধারণ সর্দি-কাশি সারাতেও এটি উপকারী।
১০. হাড়ের সুরক্ষায়: স্ট্রবেরিতে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং পটাশিয়াম থাকায় এটি হাড়ের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
