বিগত কয়েকদিনে শহরের তাপমাত্রা বাড়লেও দূষণ কিন্তু কমেনি। আর এই পরিস্থিতিতে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বক এমনিতেই স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। র্যাশ, চুলকানি, এবং খড়ি ফোটার মতো সমস্যা দেখা যায় যা বছরের অন্যান্য সময় তেমন প্রকট হয় না। এই শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বাজারচলতি বডি লোশন বা ময়েশ্চারাইজারের উপর ভরসা রাখেন। কেউ আবার ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেন, তবে তাতেও সবসময় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না।
দিনের শুরুতে ময়েশ্চারাইজার লাগালেও তা সারাদিন স্থায়ী হয় না। দিনের মাঝে ত্বকে সামান্য আঁচড় কাটলেই সাদা দাগ দেখা যায়। একদিন বডি লোশন ব্যবহার না করলেই ত্বক ফেটে যায়। এমনকি স্নানের পর ত্বক এতটাই টান ধরে যে বোঝা যায় ত্বকের কতটা বেশি আর্দ্রতার প্রয়োজন। তবে আপনার এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে আপনার স্নানের জলেই! ভাবছেন কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক…
প্রথমত, স্নানের সময় গরম জলের পরিমাণ কমিয়ে ঠান্ডা জল মেশান। এর পাশাপাশি স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল, নারকেল তেল এবং বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। এই তিনটি তেলের বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই অবগত। বিশেষত, এই তেলগুলো ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অসাধারণ কার্যকর।
অলিভ অয়েল, নারকেল তেল এবং বাদাম তেল – এই তিনটি তেলই ভিটামিন ই-তে ভরপুর। এই ভিটামিন ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও, ভিটামিন ই ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকেও রক্ষা করে। স্নানের জলে এই তিনটি তেলের মধ্যে যেকোনো একটির কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে নিলেই যথেষ্ট। দেখবেন, স্নানের পর আপনার ত্বক আর টান ধরছে না।
এছাড়াও, এই তিনটি তেলকে আপনি বডি অয়েল হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, স্নানের আগে সারা শরীরে নারকেল তেল মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন। অথবা স্নানের পর ভেজা গায়ে অলিভ অয়েল মাখুন। এই উপায়েও আপনি ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারবেন। এর ফলে আপনাকে দিনের বিভিন্ন সময়ে বারবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না।