বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের উচ্চতাও বৃদ্ধি পায়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এই উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাধা পায়। বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিশুর উচ্চতা না বাড়লে বাবা-মায়ের চিন্তা বেড়ে যায়। যা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এই সমস্যার সমাধানে অনেকেই শিশুকে বিভিন্ন ধরনের খাবার বা ওষুধ খাওয়ান। অনেক সময় এসব উপায়ে সমস্যার সমাধান নাও হতে পারে।
শিশুর উচ্চতার সঙ্গে বাবা-মায়ের জিনের সম্পর্ক রয়েছে। তাও একটা বয়সের পর থেকে শিশুর উচ্চতা ঠিকমতো না বাড়লে শরীরচর্চায় সেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। যেমন-
ঝুলে থাকা
শিশুর উচ্চতা ঠিক মতো না বাড়লে বাড়িতে সহজ কিছু ব্যায়াম করাতে পারেন। সেক্ষেত্রে দু’হাত দিয়ে লম্বা হাতল ধরে শিশুকে বেশ কিছুটা সময় ঝুলে থাকতে বলুন। নিয়মিত এটি করলে শরীরের উপরদিকের পেশিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে শিশুর উচ্চতা বাড়বে।
পায়ের আঙুল ছোঁয়া
বাড়িতে করা যেতে পারে এরকম একটি সহজ ব্যায়াম হাত দিয়ে পায়ের আঙুল ছোঁয়া। দাঁড়িয়ে থেকে শরীর ঝুঁকিয়ে যতটা সম্ভব হাতটাকে পায়ের আঙুলের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে পিঠের পেশিগুলো বেশিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠবে। তবে প্রথমেই খুব জোর করে আঙুল পর্যন্ত ছোঁয়ানোর চেষ্টা করাবেন না।
সাঁতার
একটা বয়সের পর শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেকেই শিশুকে সাঁতার শেখাতে শুরু করেন। সাঁতার শুধু শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখে না, উচ্চতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এমনিতে সাঁতার বেশ পরিশ্রমের কাজ। এতে শরীরের নমনীয়তা অনেক বেড়ে যায়, কোষগুলোও সক্রিয় হয়ে ওঠে। সাঁতার কাটার ফলে দেহের প্রতিটি পেশিই সক্রিয় হয়, যা উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে।