হাড় আমাদের সকলের শরীরের কাঠামো। এই অংশে সমস্যা হলে আমাদের শরীরেও সমস্যা দেখা দেয়। চলাচলেও তৈরি হয় সমস্যা। সুতরাং বয়সের সাথে সাথে আমাদের শরীরের হাড়ের যত্ন নেওয়া জরুরী। এ জন্য আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী রাখে?
আমাদের শরীরের হাড়গুলো ক্যালসিয়াম সঞ্চয়ের অন্যতম স্থান। অনেকেই বুঝতে পারেনা আমাদের শরীরে পুরাতন হাড় ভেঙ্গে নতুন হাড় দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। এই পুরো কাজটি ক্যালসিয়ামের উপর নির্ভর করে। ক্যালসিয়ামের সঠিক মাত্রা আমাদের হাড়কে সুস্থ রাখে।
হাড়ের ভর মূলত ক্যালসিয়াম সহ আমাদের হাড়ের বিভিন্ন খনিজগুলির স্তরকে বোঝায়। আপনার শরীরের হাড়ের ভর কেমন হবে তা জীবনের প্রথম পর্যায়ে নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছর উপযুক্ত সময়। কারণ হাড় গঠনের উপযুক্ত সময় এইটা।
পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি আক্রান্ত হয়:
প্রথম থেকেই পুরুষদের তুলনায় নারীর হাড়ের টিস্যুর পরিমাণ কম। এতে করে নারীর ক্যালসিয়াম শোষণ কম। মনোপজের পরে এ সমস্যা আরো বেড়ে যায়। এছাড়া অনেক নারীর থাইরয়েডের সমস্যা থাকে যা থেকে হাড়ের সমস্যা তৈরি হয়। অনেক সময় ভারী ব্যাগ তোলা বা আরো অন্যান্য কারণে হাড়ের সমস্যা হতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে আজীবন এই সমস্যা বয়ে বেড়ানো লাগতে পারে।
তবে যা করতে হবে ৩০ এর মধ্যে। ৩০ এর পরে করলে তেমন কোন কাজ হবে না। বিশেষত নারীদের তিনটি কারণে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখা উচিত।
১.ব্যাথা কমাতে
২.ভবিষ্যৎ এ ভালো থাকার জন্য
৩.জীবনে গতিশীলতা আনতে
এখন কথা হলো আমাদের শরীরে আপনা আপনি ক্যালসিয়াম তৈরি হয় না। দুইটি মাধ্যম দিয়ে শরীরে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে।
১.খাবারের মাধ্যমে
২.ক্যালসিয়ামের মাধ্যমে
নিয়ম মেনে কয়েকটি খাবার খেলে আপনি আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়াতে পারবেন।
১.দুধ,পনির,বাটার
২.সবুজ শাক যেমন পালং শাক
৩.চিয়া সিডস
৪.ডাল
৫.মাছ বিশেষত স্যালমন
৬.আলমন্ড
সুতরাং, আপনার হাড় সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো গ্রহণ করুন। একই সাথে, সূর্য থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে ভুলবেন না।