মা হওয়ার পর খাওয়া দাওয়া সহ এসব বিষয়েও রাখুন নজর, তাহলেই সুস্থ থাকবেন আপনি

মা হওয়ার যাত্রা মোটেই সহজ নয়। একজন নারীকে অনেকরকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় এসময়। শারীরিক, মানসিক নানা পরিবর্তন আসে। গর্ভাবস্থায় প্রায় সব নারীরই ১১.৫ কেজি থেকে ১৬ কেজি পর্যন্ত ওজন বেড়ে যায়। এর কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা বলেছেন, শিশুর ওজন, প্লাসেন্টা, অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইড, স্তনের কোশ, রক্ত, ইউটেরাসের আয়তন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত ফ্যাট জমা সব মিলেই ওজন বেড়ে যায়। অতিরিক্ত যে ফ্যাট জমা হয় তা সঞ্চিত থাকে জন্ম দেয়ার সময় এবং স্তন্যদানের সময় শক্তির উৎস হিসেবে।

মা হওয়ার পরে শরীরের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। তবে ডায়েট শুরু করতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনার শরীর তখনও এই ডায়েটের জন্য প্রস্তুত কিনা তা আগে জেনে নিন। ব্রেস্টফিডিং করানোর কারণে আপনার বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হতে পারে। তাই নিজের ইচ্ছেমতো ডায়েট করা যাবে না। ডায়েট চার্টও চিকিৎসকের কাছ থেকে নিতে হবে। সন্তান জন্মের দুই মাসের মধ্যে ডায়েট মেনে চলা শুরু করবেন না। বিস্তারিত প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান টাইমস।

খাবারের তালিকায় যা রাখবেন:

* যতই খেতে ইচ্ছে করুক, খাবারের তালিকায় কোনোরকম কোমল পানীয় রাখবেন না। কারণ এতে চিনি ছাড়া তেমন কিছুই থাকে না।

* ফাইবার যুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় বেশি রাখুন। কারণ পুষ্টি আপনি এখান থেকেই পাবেন।

* খাদ্যতালিকায় কার্বস রাখুন। কারণ কার্বোহাইড্রেট আপনাকে শক্তি দেবে।

* দিনে অন্তত ৪ লিটার জল পান করুন। কারণ শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি। এছাড়াও জল বেশি পান অন্যান্য স্ন্যাকস খাওয়ার ইচ্ছে কমবে অনেকটাই।

* ফ্যাট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন অনেকেই। কিন্তু সব ফ্যাট শরীরের জন্য খারাপ নয়। তাই ওজন কমাতে ফ্যাট একেবারেই বন্ধ করবেন না। বাদাম খাবেন। বাদামের মধ্যে থাকা ফ্যাট মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়াও হার্ট ভালো রাখে।

* খাবার অল্প করে খান। কিন্তু বারেবারে খান। দুটি খাবারের মাঝে বেশি গ্যাপ রাখবেন না একদমই।

* মনে করে ব্রেকফাস্ট অবশ্যই করবেন। বাদাম, গাজর, ফল এসব দিয়ে ব্রেকফাস্ট বানানোর চেষ্টা করুন। চিপস, পেস্ট্রি, চকোলেট থেকে লোভ সংবরণ করুন।

* প্রয়োজনে ডায়াটেশিয়ানের পরামর্শ নিন। নিজের মতো করে কোনও ডায়েট প্ল্যান তৈরি করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।
আরও যে কাজ করতে হবে

শরীরচর্চা: নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করুন। কোন কোন ব্যায়াম করতে পারেন সেগুলো ট্রেনারের থেকে জেনে নিন। শুরুতেই ওয়েট ট্রেনিং করবেন না।

বিশ্রাম: ডায়েট বা ব্যায়ামের রুটিন নির্বিশেষে বিশ্রামই হলো মূল যা আপনার দেহকে পুনরুদ্ধার করতে এবং নতুন নিয়মের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে। খেয়াল রাখবেন যেন বেশি ক্লান্তি না আসে।

ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুমান। ঘুমালে শরীর শান্ত হয়, শক্তির পুনঃনির্মাণে সাহায্য করে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy