অশোকনগরের বুজরুক দিঘা এলাকায় গলার নলি কাটা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। অবশেষে তাঁর পরিচয় জানা গেছে। মৃতের পকেটে থাকা একটি বাসের টিকিট এই রহস্যের সমাধানে প্রধান সূত্র হিসেবে কাজ করেছে। জানা গেছে, মৃত ব্যক্তি একজন প্রাক্তন কোবরা জওয়ান ছিলেন।
মৃতের নাম নূর আলম, বয়স ৩২। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের কাঞ্চন নগর এলাকার বাসিন্দা। অশোকনগর থানার পুলিশ একটি বাসের টিকিটের সূত্র ধরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর বারাসত জেলা হাসপাতালে এসে পরিবারের সদস্যরা দেহটি শনাক্ত করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নূর আলম ২০১৪ সালে সিআরপিএফের কোবরা জওয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে মানসিক সমস্যার কারণে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর ভাই শেখ মেহেবুব আলম জানান যে, নূর মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং প্রায়ই কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তেন। চলতি মাসের শুরুতেও তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
যদিও মৃতের পরিচয় জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ এখনও অজানা। নূর আলমের দুটি বিয়ে হয়েছিল এবং তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তবে এই সবকিছু সত্ত্বেও কীভাবে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে এত দূরে অশোকনগরে এলেন এবং কারা তাঁকে এমন নৃশংসভাবে খুন করল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশ এখন খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
এই ঘটনাটি এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং একইসঙ্গে একজন প্রাক্তন কোবরা জওয়ানের এমন করুণ পরিণতিতে স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ এখন এই রহস্যের জট ছাড়ানোর জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে।