নিরাপদ দেশ’ এই কথাটি ঠিক অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। জোর গলায় অনেকেই বলবেন, সব দেশেই আছে মারামারি, হানাহানি, চুরি, ডাকাতি, অসৎ মানুষ। কিন্তু জানেন কি? এমন একটি দেশ আছে যেখানে এসবের কিছুই হয় না। এমনকি এখানে পুলিশ বন্দুক বহন করে না।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এখনো পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ রয়েছে যেগুলো মানুষের জন্য খুবই নিরাপদ। এই দেশগুলোতে গিয়ে পর্যটকরা কখনই তাদের জীবন নিয়ে কোনো ভয় অনুভব করবেন না। বরং এখানকার অধিবাসীরা তাদের পরিবার নিয়ে সুখ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন। বলছিলাম এমনই একটি দেশ আইসল্যান্ডের কথা, এটি একটি নর্ডিক দেশ এবং ইউরোপের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এবং বিজনেস ইনসাইডার ওয়েবসাইট অনুসারে, আইসল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্লোবাল পিস ইনডেক্সও এই দেশটিকে এক নম্বর নিরাপদ দেশের মর্যাদা দিয়েছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই দেশের ১১ শতাংশ এলাকা বরফে ঢাকা। বিশ্বে উষ্ণতা বাড়তে থাকলে অচিরেই এই দেশটি ডুবে যাবে।
জেনে অবাক হবেন যে আইসল্যান্ডের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোনো টিউশন ফি নেয় না, তারা শুধু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন এবং রেজিস্ট্রেশন ফি নেয়। সেই সূত্রে বলা যায় এখানে বিনামূল্যে শিক্ষা কার্যক্রম চলে এখানে। অনেকেই বুঝতেই পারছেন যে শিক্ষা যেখানে এমন, সেখানে এই দেশ গরিব হতে পারে না! ঠিকই ধরেছেন, দেশটি ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই দেশের জনসংখ্যাও খুবই কম এবং মাথাপিছু আয় ৫৫ হাজার ৮৯০ পিপিপি ডলার। এর থেকে অনুমান করা যায় এটি একটি ধনী দেশ।
এখানকার অধিবাসীরা এত শান্তিতে বসবাস করেন যে, এখানে পুলিশকেও বলপ্রয়োগ করতে হয় না। এই কারণেই পুলিশ সদস্যদের কাছেও বন্দুক নেই, তারা কেবল পেপার স্প্রে এবং লাঠি ব্যবহারে বিশ্বাসী। এই দেশে সমকামী বিয়ের অনুমতি রয়েছে, রয়েছে নারী-পুরুষের সমান বেতন দেওয়ার বিধান।