পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে কে না ভালোবাসে! আর নিজের ঘরবাড়িকে সুন্দর ও গোছানো দেখতে সকলেরই মন চায়। তবে শুধু পরিষ্কার করলেই হবে না, ঘরকে পরিপাটি রাখতে কিছু সহজ উপায় মেনে চলা জরুরি। আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই ৭টি কৌশল:
প্রথমত, একদিনেই পুরো বাড়ির জঞ্জাল সাফ করার ধকল না নিয়ে, প্রতিদিন একটি করে ঘর পরিষ্কারের জন্য বেছে নিন। শুরুটা করুন ঘরের ছাদ থেকে। লম্বা ঝাড়ুর মাথায় কাপড় জড়িয়ে অথবা লম্বা হাতলের ঝাড়ু ব্যবহার করুন। এই সময় মুখে মাস্ক এবং চোখে চশমা পরলে ধুলোবালি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, ঘরের আসবাবপত্র মোছার জন্য নরম ও পাতলা কাপড় ব্যবহার করুন। যদি আসবাবের উপর পুরনো দাগ বা ময়লা জমে থাকে, তবে কাপড় সামান্য ভিজিয়ে নিন। এছাড়াও, বাজারে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র পরিষ্কার করার লিকুইড পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করতে পারেন।
তৃতীয়ত, আপনার ঘরের মেঝেতে যদি কার্পেট থাকে, তবে তার উপরে কিছুটা বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর সেটি ভালো করে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। দেখবেন, কার্পেটের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
চতুর্থত, ঘরের পর্দা খুলে ভালোভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। যদি পর্দা খুলতে অসুবিধা হয়, তাহলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করে আলতোভাবে পরিষ্কার করতে পারেন। যাদের ভ্যাকুয়াম ক্লিনার নেই, তারা বড় ও নরম ঝাড়ু দিয়েও পর্দা ঝেড়ে নিতে পারেন।
পঞ্চমত, আয়না নিয়মিত পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। এর জন্য গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, সামান্য ডিটারজেন্ট মেশানো জল দিয়েও আয়না পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলে কোনো দাগ থাকবে না এবং আয়না ঝকঝকে দেখাবে।
ষষ্ঠত, আপনার ঘরে যদি ইনডোর প্ল্যান্ট থাকে, তাহলে টবের মধ্যে জমে থাকা শুকনো পাতা ও ফুল ফেলে দিন। গাছের পাতা ভেজা ও নরম কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে দিন। এতে গাছ সতেজ থাকবে।
সবশেষে, ঘর পরিষ্কার করার সময় অনেকেই চেয়ার বা টুলের উপর দাঁড়িয়ে সিলিং বা সিলিং ফ্যান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। এটি বিপজ্জনক হতে পারে। তাই একটি ছোট সিঁড়ি কিনে রাখলে পরিষ্কার করার সুবিধা হবে এবং পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও কমবে।
মনে রাখবেন, প্রতিদিন অল্প অল্প করে ঘর পরিষ্কার রাখলে একদিনে বেশি কাজের চাপ পড়বে না। তাই একটি পরিকল্পনা করে প্রতিদিনের কাজ ভাগ করে নিন। পরিপাটি ঘর শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এটি আপনার মনকেও শান্ত ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।