অল্প বয়সে কৌতূহল, সঙ্গদোষ, অথবা একাকিত্ব ও মানসিক অবসাদ থেকে অনেক তরুণ-তরুণী ধূমপানের মতো মরণনেশার শিকার হচ্ছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাকজাত দ্রব্যের এই আসক্তি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই সময় থাকতেই এই সমস্যা থেকে সন্তানকে রক্ষা করা প্রতিটি অভিভাবকের দায়িত্ব।
কীভাবে সন্তানকে রক্ষা করবেন?
সময় দিন: যদি জানতে পারেন যে আপনার সন্তান ধূমপান করছে, তবে তার সঙ্গে রাগারাগি না করে বরং তাকে বেশি করে সময় দিন। তার এই আসক্তির কারণ খুঁজে বের করে সমাধানের চেষ্টা করুন। তাকে বোঝান যে আপনি তার পাশে আছেন।
খোলামেলা আলোচনা: ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে সন্তানের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। তাকে বোঝান যে এই অভ্যাস শুধু তার স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, আর্থিক দিক থেকেও ক্ষতিকর।
নিজে দৃষ্টান্ত হন: আপনি যদি নিজে ধূমপায়ী হন, তবে সন্তানের কাছে নিজেকে ধূমপানমুক্ত হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন না। তাই নিজে এই অভ্যাস ছেড়ে সন্তানের জন্য একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করুন।
অন্য কাজে উৎসাহ দিন: ধূমপানের পেছনে টাকা খরচ না করে সেই টাকা দিয়ে স্মার্টফোন বা অন্য কোনো পছন্দের জিনিস কেনার জন্য তাকে উৎসাহ দিতে পারেন।
পারিবারিক বন্ধন: বিশেষজ্ঞরা বলেন, একাকিত্বের কারণে অনেকে নেশায় আসক্ত হয়। তাই পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করা এবং একসঙ্গে সময় কাটানো খুবই জরুরি।
‘না’ বলতে শেখান: সন্তানকে মাদকমুক্ত রাখতে বন্ধুদের চাপের মুখে ‘না’ বলতে শেখানো খুব গুরুত্বপূর্ণ।
যদি সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনে সন্তানকে কোনো রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। মনে রাখবেন, সন্তানের বন্ধুদের সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখাও একজন অভিভাবকের জন্য জরুরি।