ত্বকে ফ্যাকাসে লাল বা বাদামী রঙের ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো দেখতে ছুলি একটি সাধারণ চর্মরোগ। এটি সাধারণত মুখ, হাত, কাঁধ বা পিঠের ত্বকে দেখা যায়, যেখানে মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে অনেক সময় ত্বকে চুলকানি বা জ্বালাভাব হতে পারে। ছুলি নিরাময়ের জন্য আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি থাকলেও, কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ছুলি দূর করার কার্যকরী ঘরোয়া উপায়:
লেবু-চিনির স্ক্রাব: একটি লেবু অর্ধেক করে কেটে তার উপর আধা চামচ চিনি মাখিয়ে ছুলির আক্রান্ত স্থানে ১০ মিনিট ধরে আলতোভাবে মালিশ করুন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ দ্রুত হালকা হয়ে যাবে।
লেবুর রস: লেবুর রসে থাকা বিশেষ উপাদান ত্বকের গাঢ় দাগ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস বের করে ছুলির জায়গায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।
টমেটোর রস: একটি পাকা টমেটো চটকে তার রস ছুলি আক্রান্ত স্থানে মেখে ১৫-২০ মিনিট মালিশ করুন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাবান ব্যবহার করবেন না। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে ছুলির দাগ ফিকে হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
পেঁয়াজ: পেঁয়াজে থাকা এক্সফলিয়েটিভ উপাদান ছুলি নিরাময়ে খুব কার্যকর। একটি পেঁয়াজের টুকরো দিয়ে দিনে অন্তত দুইবার ছুলির উপর ঘষুন। যতদিন দাগ হালকা না হয়, ততদিন এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
টক দই: টক দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড ছুলি দূর করতে সাহায্য করে। তিন চামচ টক দই একটি তুলার বলের সাহায্যে ছুলি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে ৩-৪ বার এটি ব্যবহার করলে ছুলি এবং ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যাও কমবে।
ভেজিটেবল মাস্ক: শসার দুটি টুকরা ও স্ট্রবেরির দুটি টুকরা একসঙ্গে চটকে নিন। এরপর এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করুন। এই মাস্কটি ছুলির উপর লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ছুলি থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে অন্তত চারবার এই মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি খুবই সহজ এবং সাশ্রয়ী। তবে কোনো পদ্ধতি ব্যবহারের পর ত্বকে অস্বস্তি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।