চা নাগরিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সকালে গৃহিণীর হাতে বানানো চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দিন শুরু। খাবারের টেবিলে অথবা সকালে খবরের কাগজ পড়ার সময় চা চাই! সারাদিন একাধিকবার অনেকেই চা পান করেন। চা পান করা শরীরের পক্ষে উপকারী না ক্ষতিকারক, তা নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা আছে।
ভারতের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান রেখা চন্দ্রাকর জানিয়েছেন, চা পান করার সময়ে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। তা হলেই চা পানের উপকারিতা পাওয়া যাবে। চায়ের পুষ্টিগুণগুলি শরীরে যাবে। আর চা পানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।
১. চায়ের পাতা, দুধ এবং চিনি একসঙ্গে ফুটিয়ে চা বানাবেন না। প্রথমে জল ফোটান, তার পরে চা পাতা মেশান। সবার শেষে দুধ মেশান।
২. চায়ের জল একবার ফোটালেই যথেষ্ট। তিন মিনিটের বেশি চা ফোটালে জলের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। চায়ের স্বাদও খারাপ হয়।
৩. সবসময়ে ফুটন্ত জলেই চা পাতা ঢালুন। এর ফলে চায়ের রং এবং ফ্লেভার, দুই সঠিক থাকবে।
৪. বানানোর পরে আধ ঘণ্টা হয়ে গেলে আর সেই চা পান করবেন না। এর থেকে বদহজম হতে পারে।
৫. একবার যে চা পাতা ব্যবহার করে চা বানানো হয়েছে, তা দিয়ে আর চা বানাবেন না। এতে পেটের সমস্যা হতে পারে।
৬. খাওয়ার পরে চা পান করবেন না। চায়ের মধ্যে ফেনোলিক কম্পাউন্ড থাকে। এই যৌগটি শরীরের আয়রন গ্রহণক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে, অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭. ওষুধ খাওয়ার পর পরই চা পান করবেন না। চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করে।
৮. সকালে খালি পেটে চা পান করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। তাই কিছু খেয়ে তার পরেই চায়ে চুমুক দিন।