প্রোটিন, আঁশ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি: সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সব খাবারের তালিকায় প্রোটিন, আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি যোগ করুন। ডাল ও বিভিন্ন বীজ জাতীয় খাদ্যশস্যে প্রচুর উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থাকে। অ্যাভোকাডো, বাদাম ও বিভিন্ন বীজে প্রচুর আঁশ পাওয়া যায়। এছাড়া, অলিভ অয়েল থেকে স্বাস্থ্যকর চর্বি পাওয়া যায়। এই উপাদানগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখে।
নিয়মিত সবজি খান: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবজি খুবই কার্যকরী। কারণ সবজিতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে এবং পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ফলে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। দিনের প্রতিটি প্রধান খাবারের সঙ্গে সবজি খেতে ভুলবেন না। এমনকি সুযোগ থাকলে সকালের নাস্তাতেও অল্প সবজি যোগ করতে পারেন।
খাবারের সময় মেনে চলুন: নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো খাবার খাওয়া জরুরি। সকালের নাস্তায় ভারী খাবার, যেমন ফল, বাদাম ও মাখন খেতে পারেন। কিন্তু রাতের খাবার হতে হবে একেবারে হালকা। কারণ সূর্য ডোবার পর আমাদের মেটাবলিজম রেট কমে যায়, তাই রাতে বেশি খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন, যা প্রচুর ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করবে। তবে সপ্তাহে পাঁচ দিনের বেশি ব্যায়াম করবেন না, কারণ শরীরের বিশ্রামও প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত আঁশ: সারাদিনে কয়েকবার আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করতে পারে না এবং ওজন বাড়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
পর্যাপ্ত ঘুম: অফিসের চাপ বা অন্য কোনো কারণে যদি ঠিকমতো ঘুম না হয়, তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অপর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে এবং বছরে প্রায় দেড় কেজি ওজন বাড়াতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক পরিমাণে জল পান: দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল পান করুন। এছাড়া, জল সমৃদ্ধ ফল ও সবজি বেশি করে খান। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঠাণ্ডা জল হজম ক্ষমতা বাড়ায়। তবে ফ্রিজের ঠাণ্ডা জল বা সোডা পান করা থেকে বিরত থাকুন।
সপ্তাহে একদিন পছন্দের খাবার: ওজন কমানোর জন্য পছন্দের কোনো খাবার একেবারে বাদ দেওয়ার দরকার নেই। বরং সপ্তাহে একদিন অল্প পরিমাণে আপনার পছন্দের খাবার খেতে পারেন।
পেট ভরে খাবেন না: অনেকেই খেতে ভালোবাসেন বলে পেট ঠেসে খেয়ে নেন। এতে হজমের সমস্যা হয় এবং ওজনও বাড়ে। তাই স্বাভাবিক মাত্রায় খান। অতিরিক্ত খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।