কৈশোরে পা রাখা মানেই নিজের চেহারা, রূপ এবং শরীর সম্পর্কে সচেতনতা বেড়ে যাওয়া। কেমন দেখাচ্ছে, কীভাবে সাজলে ভালো লাগবে – এমন হাজারো ভাবনা ঘুরে বেড়ায় কিশোর-কিশোরীদের মনে। তবে সাজগোজের আগে সবচেয়ে জরুরি হলো ত্বক ও চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া, যা ভবিষ্যতের উজ্জ্বলতার ভিত্তি তৈরি করে।
কিশোরী ত্বকের যত্নে তিনটি সহজ ধাপ
সঠিক যত্নের অভাবে কৈশোরে ত্বক নানা সমস্যায় ভুগতে পারে। তবে খুব কঠিন কোনো পদ্ধতি অনুসরণের প্রয়োজন নেই। সহজ তিনটি ধাপ মেনে চললেই কিশোরী সন্তানের ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জ্বল:
নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করা: দিনে দু’বার ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। এই বয়স থেকেই যদি এই অভ্যাস তৈরি করা যায়, তাহলে তা সারাজীবন ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখা চেহারার ঔজ্জ্বল্যের জন্য অপরিহার্য।
টোনার ব্যবহার: প্রতিবার মুখ পরিষ্কার করার পর অল্প একটু টোনার লাগানো ভালো। টোনার ত্বকের রোমকূপগুলো খুলতে সাহায্য করে, ফলে ত্বকে জমে থাকা ময়লা বা অতিরিক্ত তেল আটকে থাকে না। এতে ত্বক আরও ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারে।
ময়শ্চারাইজার প্রয়োগ: টোনার লাগানোর পর অল্প করে ময়শ্চারাইজার লাগানো জরুরি। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং মসৃণ করে তোলে। সঠিক ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক কোমল ও সতেজ দেখাবে।
এই তিনটি সহজ ধাপ অনুসরণ করে কিশোর-কিশোরীরা তাদের ত্বককে সুস্থ রাখতে পারে এবং কৈশোর থেকেই একটি উজ্জ্বল ও সতেজ চেহারার অধিকারী হতে পারে। সঠিক যত্ন নেওয়ার এই অভ্যাস তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও সাহায্য করবে।