৪০ বছর বয়স পেরোলেই কি মাটির নীচে জন্মানো সবজি খাওয়া উচিত নয়? ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কি এই সবজিগুলো ক্ষতিকর? এই ধরনের প্রশ্ন ও উদ্বেগ অনেকের মনেই কাজ করে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভিন্ন মতামত থাকলেও, একটি পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাটির নিচের সবজি খাওয়া যাবে না, এই ধারণাটি একটি ‘মিথ’। আসলে, এই সবজিগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি। আলু, কচু, গাজর এবং বিটের মতো সবজিতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে, তাই এগুলো সতর্কতার সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে এগুলো সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে।
অন্যদিকে, মূলা, শালগম, পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা মাটির নিচে জন্মালেও এগুলোতে শর্করার পরিমাণ কম। তাই এই সবজিগুলো নির্দ্বিধায় খাওয়া যেতে পারে।
আলু, মিষ্টি আলু, শালগম, বিট-এর মতো সবজিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এসব সবজি কাঁচা না খেয়ে সেদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে, সাদা, হলুদ, কমলা, গোলাপি এবং বেগুনি রঙের মিষ্টি আলুতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। গাজর, মূলা, শালগম এবং ব্রকোলিতেও প্রচুর উপকারী উপাদান বিদ্যমান।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, এই ধরনের সবজিগুলো সেদ্ধ করে পরিমিত পরিমাণে খেলে সুগারের কোনো ভয় থাকে না। বরং এগুলো শরীরের জন্য উপকারী। তাই ৪০ বছর বয়সের পরও বা ডায়াবেটিস থাকলেও মাটির নিচের সবজি সম্পূর্ণ বাদ না দিয়ে, বরং পরিমিত পরিমাণে এবং সঠিক উপায়ে গ্রহণ করা যেতে পারে।