২০২৫ সালের চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ: জ্যোতিষশাস্ত্র ও ধর্মীয় অভ্যাসের মিলন

সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ, যা কেবল ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ, তার সাথে জ্যোতিষশাস্ত্রেও রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। ২০২৫ সালে ইতিমধ্যে ২৯ মার্চ প্রথম সূর্যগ্রহণটি ঘটেছে, তবে এই গ্রহণ ভারত থেকে দেখা যায়নি। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল ১৪ মার্চ, হোলির দিন, যেটিও ভারতের আকাশে দেখা যায়নি। তবে, এই বছরে আরও একবার সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে, যেগুলি ভারতের আকাশে দৃশ্যমান হবে। চলুন জেনে নিই ২০২৫ সালের পরবর্তী সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ কবে হবে এবং এর তাৎপর্য কী।

২০২৫ সালের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ

২০২৫ সালের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ ২১ সেপ্টেম্বর হতে চলেছে। এটি হবে আংশিক সূর্যগ্রহণ এবং এটি মূলত অস্ট্রেলিয়া, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগরে দৃশ্যমান হবে। ভারতে এটি আংশিক সূর্যগ্রহণ হিসেবে দেখা যাবে। সূর্যগ্রহণের সময়, বিশেষত জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি একজন ব্যক্তির জীবনে পরিবর্তন, শক্তি হ্রাস এবং আধ্যাত্মিক অগ্রগতির ইঙ্গিত দেয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সূর্যগ্রহণের সময় ধ্যান এবং পুজো করা বিশেষভাবে উপকারি মনে করা হয়।

২০২৫ সালের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ

২০২৫ সালের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ ৭-৮ সেপ্টেম্বর হবে। এটি একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, অর্থাৎ চাঁদ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর ছায়ায় চলে আসবে। এই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ভারতসহ অন্যান্য দেশগুলোতে সম্পূর্ণভাবে দৃশ্যমান হবে। এটি একটি বিশেষ জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত ঘটনা, যা অনেকেই উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছেন। চন্দ্রগ্রহণের সময় মানসিক উত্তেজনা এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে, তবে এর পর ইতিবাচক পরিবর্তনের আশাও করা হয়। এই সময় মানুষ সাধনা, উপবাস এবং ধ্যান করে থাকে।

আসন্ন সূর্যগ্রহণের তালিকা

২০২৫ সালের পরবর্তী পাঁচ বছরের সূর্যগ্রহণের সম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া হলো:

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫: আংশিক সূর্যগ্রহণ

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬: বলয়াকার সূর্যগ্রহণ

১২ আগস্ট ২০২৬: পূর্ণ সূর্যগ্রহণ

৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৭: বলয়াকার সূর্যগ্রহণ

২ আগস্ট ২০২৭: পূর্ণ সূর্যগ্রহণ

২৬ জানুয়ারি ২০২৮: বলয়াকার সূর্যগ্রহণ

২২ জুলাই ২০২৮: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ

১ জুন ২০৩০: বলয়াকার সূর্যগ্রহণ

২৫ নভেম্বর ২০৩০: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ

এছাড়া, এই সময়গুলোতে আধ্যাত্মিকতা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের অনুসরণকারী ব্যক্তিরা বিশেষভাবে ধ্যান, সাধনা ও পুজো করার প্রতি আগ্রহী হন। সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের সময়, নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং আধ্যাত্মিক সাধনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

সংক্ষেপে, সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ শুধু আকাশগঙ্গার পরিবর্তন নয়, এগুলি মানুষের জীবনেও পরিবর্তন আনতে পারে, যা জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হয়।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy