কে না চায় সুস্থ ও ফিট শরীর? কিন্তু ব্যস্ত জীবনযাত্রায় তা আর হয়ে ওঠে না। অনেকেই ভাবেন সকালে উঠে ব্যায়াম করবেন, কিন্তু ঘুম ভাঙতে না চাওয়ায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
তবে আর চিন্তা নেই! মাত্র ১০ দিনেই নিজেকে বদলে ফেলার জন্য রইল ৭টি সহজ টিপস। এগুলো মেনে চললে আপনিও পেতে পারেন এক নতুন জীবনধারা:
১. দিনের শুরুতে ২০ মিনিটের শরীরচর্চা: প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে অন্তত ২০ মিনিট নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন। যোগা, দৌড়ানো, হালকা ব্যায়াম অথবা আপনার পছন্দের যেকোনো ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি হতে পারে। এটি আপনার দিনটিকে যেমন সতেজ করবে, তেমনই শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকেও সক্রিয় রাখবে।
২. বাইরের খাবারকে ‘না’: এই কয়েকদিন বাড়ির বাইরের খাবার সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলুন। দিনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার (যেমন – সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার) বাড়িতে তৈরি করে খান। এতে আপনি খাবারের গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত থাকতে পারবেন এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ক্যালোরি এড়াতে পারবেন।
৩. ধীরে ধীরে খাবার গ্রহণ: তাড়াহুড়ো করে খাবার গ্রহণ করবেন না। ধীরে সুস্থে প্রতিটি খাবারের স্বাদ নিয়ে তবে খান। ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে হজম ভালো হয় এবং পেট ভরা অনুভূতিও তাড়াতাড়ি আসে, যা অতিরিক্ত খাওয়া কমাতে সাহায্য করে।
৪. পর্যাপ্ত জল পান: প্রতিদিন নিয়ম করে আড়াই থেকে তিন লিটার জল পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল আপনার শরীরের মেটাবলিক রেট বাড়াতে সাহায্য করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখে এবং শরীরের টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
৫. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন: আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান। চিজ, ডিম, ডাল, চিকেন, মাছ – এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা পেশি গঠনে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়ক।
৬. স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের সঙ্গী: অফিসে বা বাইরে বের হওয়ার সময় নিজের খাওয়ার পরিমাণ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস সঙ্গে নিয়ে বের হন। দই, ফল, ড্রাই ফ্রুট, স্প্রাউট, পনির বা এক টুকরো চিজ আপনার সাথে রাখুন। যখনই হালকা খিদে অনুভব করবেন, তখন অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে এই স্ন্যাকসগুলো খান।
৭. ওজন মেশিনের চিন্তা বাদ দিন: এই ৭ থেকে ১০ দিন একবারের জন্যও ওজন মাপার মেশিনের দিকে তাকাবেন না। অনেক সময় ডায়েটিং এবং এক্সারসাইজের পরেও মেশিনে তাৎক্ষণিক প্রভাব নজরে পড়ে না। মনে রাখবেন, আপনার পেশির ওজন বৃদ্ধি পেলে তা সাধারণ ওজন মেশিনে ধরা নাও পড়তে পারে। তাই হতাশ না হয়ে নিজের পরিবর্তন অনুভব করার দিকে মনোযোগ দিন।
এই সহজ নিয়মগুলো মেনে চললে আপনি অবশ্যই ১০ দিনের মধ্যে নিজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য এই পদক্ষেপগুলো আজ থেকেই শুরু করুন!