আপনি কী খাচ্ছেন, তার উপরেই নির্ভর করবে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য৷ বুঝতেই পারছেন যে, যাঁরা মোটামুটি নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করেন, তাঁদের হার্টও বেশিদিন সুস্থ থাকে৷ এবার জেনে নিন কোন কোন খাবার আপনার রোজের খাদ্যতালিকায় থাকলে হৃদয় বেশিদিন সুস্থ থাকবে৷
সুবজ শাকপাতা ও টোম্যাটো: মরশুমি পালং, পুঁই, নটে, কলমি সব ধরনের শাকই খেতে পারেন৷ তবে অতি অবশ্যই শাক খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে আগে৷ শাকে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডান্ট থাকে৷ পাওয়া যায় নাইট্রেট, তার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, বাড়ে ধমনীর কার্যক্ষমতা৷ টোম্যাটোর লাইকোপিনের সৌজন্য প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট পাবে আপনার শরীর৷ লাইকোপিন হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়৷
আটা, লাল চাল, ওটস, বার্লির মতো ‘হোল গ্রেন’ রাখুন খাদ্যতালিকায়: হোল গ্রেনের ফাইবার নিয়ন্ত্রণে রাখে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা৷ মনে রাখবেন, ‘হোল গ্রেন’ বলতে যা বোঝায় ‘মাল্টিগ্রেন’ কিন্তু ঠিক তা নয়৷ নানা ধরনের দানাশস্য মিশিয়ে তৈরি হয় ‘মাল্টিগ্রেন’ শস্য, তার মধ্যে রিফাইন্ড ভ্যারাইটিও থাকতে পারে৷ স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে কিন্তু হোলগ্রেন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি বা আমলকী খান: ‘বেরি’ জাতীয় সব ফলের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে, তা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর বলে সাব্যস্ত হয়৷ তা ছাড়া এই ধরনের সব ফল দিয়েই মুখরোচক স্ন্যাক্স বানিয়ে নেওয়া যায়৷ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সেটাও খুব উপকারী৷
তৈলাক্ত মাছ ও মাছের তেল: স্যামন, ম্যাকারেল, সার্ডিন, টুনা, পমফ্রেট, ইলিশের মতো মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে৷ রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড, সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখতে নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল খাওয়া উচিত৷
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে মোনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, থাকে পটাশিয়াম৷ দুটোই হার্টের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়৷
ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডান্ট হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে৷ তবে চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকলে কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালোরিও ঢুকবে শরীরে, সেটা খেয়াল রাখবেন৷
এছাড়া রসুন, আমন্ড, আখরোট, অলিভ অয়েল, গ্রিন টি ফ্ল্যাক্সসিডও হার্টের স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ৷ ডায়েটের পাশাপাশি যদি মোটের উপর হাঁটাচলা করেন ও ‘অ্যাকটিভ’ জীবন কাটান, তা হলে বেশিদিন সুস্থ থাকবে আপনার হৃদযন্ত্র৷TS