মুখের ত্বকের যত্ন নিলেও শরীরের অন্যান্য অংশের যত্ন, বিশেষ করে হাঁটু ও কনুইয়ের মতো অংশে অনেকেই অবহেলা করে থাকেন। কনুইতে চাপ দিয়ে বসা, মৃত কোষের স্তর জমা বা দীর্ঘ সময় রোদে থাকার কারণে এই স্থানগুলোতে কালচে ছোপ (হাইপার পিগমেন্টেশন) পড়তে পারে। বাজারজাত প্রসাধনীতে দ্রুত ফল না পেলে, কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করে এই জেদি দাগ সহজেই দূর করা সম্ভব।
মনে রাখবেন, রাতারাতি ফল পাওয়া সম্ভব নয়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ হালকা হতে শুরু করবে।
১. কফি ও অ্যালোভেরা জেল
কফি একটি চমৎকার স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে এবং অ্যালোভেরা জেল ত্বককে কোমল করে।
-
উপকরণ: ১ চামচ কফি গুঁড়ো এবং পরিমাণমতো অ্যালোভেরা জেল।
-
ব্যবহার পদ্ধতি:
-
কফি গুঁড়োর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
-
এই মিশ্রণটি হাঁটু ও কনুইয়ের কালচে অংশে আলতো হাতে কয়েক মিনিট ধরে ঘষুন।
-
মাসাজ করার পর ধুয়ে ফেলুন।
-
-
কতবার ব্যবহার: সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
২. টমেটোর ব্যবহার
টমেটোতে থাকা অ্যাসিডিক উপাদান জেদি কালো দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী।
-
উপকরণ: টমেটো অথবা চালের আটা ও টমেটোর রস।
-
ব্যবহার পদ্ধতি (সরল):
-
হাঁটু ও কনুইয়ের কালচে দাগের উপর টমেটোর স্লাইস বা টমেটোর রস সরাসরি ঘষুন।
-
কয়েক মিনিট পর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
-
-
ব্যবহার পদ্ধতি (স্ক্রাব):
-
চালের আটার সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে ঘন প্যাক তৈরি করে নিন।
-
এই মিশ্রণটি কনুই ও হাঁটুতে স্ক্রাব করুন।
-
১০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
-
৩. লেবু ও চিনির প্যাক
লেবুতে থাকে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা ত্বকের কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। চিনি একটি ভালো এক্সফোলিয়েটর।
-
উপকরণ: লেবুর রস ও চিনি।
-
ব্যবহার পদ্ধতি:
-
লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন।
-
এই মিশ্রণটি কনুইয়ে ৫-৭ মিনিট ধরে ভালো করে ঘষুন বা স্ক্রাব করুন।
-
তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
-
-
কতবার ব্যবহার: নিয়মিত ২-৩ সপ্তাহ এই নিয়ম অনুসরণ করলে দ্রুত কালচে দাগ হালকা হতে শুরু করবে।
💡 আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?
আপনি কি ত্বকের যত্নের জন্য শরীরের অন্য কোনো অংশের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান, নাকি ত্বকের কালচে ছোপ পড়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান?