সুস্থতার চাবিকাঠি ভালবাসার সম্পর্ক, গভীর বন্ধনের জন্য ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই কাজগুলি করুন

সুস্থ জীবনের মূল ভিত্তি হল ভালবাসার সম্পর্ক। আর একটি সম্পর্কের গভীরতা নির্ভর করে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলির উপর, যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল যৌন মিলন। তবে আধুনিক জীবনযাত্রায় কর্মব্যস্ততা, মানসিক চাপ এবং অতিরিক্ত টেনশনের কারণে অনেক সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় পর একে অপরের সঙ্গে মিলিত হলেও সেই সম্পর্কে আগের উষ্ণতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও যেন আজকাল আর তেমন অবাক করার মতো বিষয় নয়। ডিজিটাল যুগে সম্পর্ক খুব সহজেই তার উষ্ণতা হারাচ্ছে। এমন বহু দম্পতি আছেন যারা সম্পর্কের যৌনতাকে ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে এবং সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কয়েকটি সহজ কাজ করলে দারুণ ফল পাওয়া যেতে পারে। তাহলে কাজের হাজারো চাপের মধ্যেও আপনার প্রতিটি রাত হয়ে উঠবে আরও উষ্ণ ও আনন্দময়।

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ দম্পতিই চাকরিজীবী। বিশেষত বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদের কাজের সময় প্রায়শই ভিন্ন হয়ে থাকে। ফলে একে অপরের জন্য অপেক্ষা করার সময় ক্রমশ কমে আসছে। কিন্তু সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি হল একসঙ্গে ঘুমোতে যাওয়া। সারাদিনের ক্লান্তি ও কাজের চাপের পর রাতে অন্তত দুজনে একসঙ্গে বিছানায় যাওয়া উচিত।

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাতে একে অপরের বাহুডোরে আবদ্ধ হয়ে ঘুমালে সম্পর্কের বন্ধন অনেক বেশি মজবুত হয়। এই অভ্যাস দীর্ঘ বছর ধরে একটি সম্পর্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

লকডাউনের সময় ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে প্রিয়জনের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ ক্রমশ কমেছে। দিনের বেশিরভাগ সময়টাই অফিসের কাজে চলে যাচ্ছে। তার উপর মিটিং এবং কাজের ডেডলাইন তো লেগেই রয়েছে।

তবে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেদের জন্য কিছুটা সময় বের করে নেওয়া জরুরি। অফিসের কাজ করার ফাঁকেও একে অপরের সঙ্গে সামান্য কথা বলুন। কাজ শেষ হয়ে গেলে দুজনে একসঙ্গে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। ঘরের আলো কমিয়ে হালকা সুগন্ধী স্প্রে করে কিছুক্ষণ সময় কাটান। এতেও সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। নিজেদের একান্ত সময়গুলিতে স্মার্টফোন বন্ধ রাখুন। সম্ভব হলে আজ থেকেই শোবার ঘরে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিন।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো ঝামেলা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে মনে রাখবেন, ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি কোনওরকম মনোমালিন্য বা ঝগড়া হয়ে থাকে, তাহলে তা রাতেই মিটিয়ে নিন। একটি শান্ত ও ইতিবাচক মন নিয়ে ঘুমাতে গেলে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। তাই সুস্থ ও সুন্দর দাম্পত্য জীবনের জন্য এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলি রপ্ত করা অপরিহার্য।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy