সুতির পোশাকের যত্ন, সঠিক ধোয়া, শুকানো ও সংরক্ষণের উপায়

সুতির আরামদায়ক পোশাকের চাহিদা সারা বছরই থাকে, বিশেষত গরমের সময়ে। তুলা থেকে তৈরি এই প্রাকৃতিক ফেব্রিকটি যেমন আরামদায়ক, তেমনই এর বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। সুতির কাপড়ের সঠিক যত্ন না নিলে এর রঙ এবং আয়ু দ্রুত কমে যায়। তাই ধোয়া থেকে শুরু করে ভাঁজ করা পর্যন্ত কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে আপনার প্রিয় সুতির পোশাকের যত্ন নেবেন।

সুতির পোশাক ধোয়ার উপায়:

ঘষে না ধোয়া: সুতির ফেব্রিক খুব সহজে ছিঁড়ে যেতে পারে, তাই সাবান দিয়ে ঘষে ঘষে না ধোয়াই ভালো। হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে আলতো হাতে ধোয়ার চেষ্টা করুন।

ঠান্ডা জলে ধোয়া: প্রচণ্ড গরম জলে সুতির পোশাক ভেজাবেন না, কারণ এতে পোশাকের রঙ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঠান্ডা বা হালকা গরম জলে পোশাক ধুলে রঙ ভালো থাকে।

পরার পর দ্রুত ধোয়া: সুতির পোশাক এক মাসের জন্য ফেলে রাখবেন না। পরার পরপরই ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। যদি একবার পরেই না কাচতে চান, তবে অন্তত এক ঘণ্টা রোদে দিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন।

দাগ দূর করা: যদি সুতির পোশাকে কোনো দাগ লাগে, তবে প্রথমে শুধুমাত্র দাগের অংশটুকু আলাদা করে পরিষ্কার করে নিন, তারপর পুরো পোশাকটি ধোন।

মাড় দেওয়া: সুতির পোশাকে মাড় দিলে তা দেখতে সুন্দর হয়। তবে মাড় দেওয়ার পর জল ঝরিয়ে নিতে ভুলবেন না।

শুকানোর সময় যা করবেন:

আলগাভাবে মেলুন: সুতির পোশাক খুব টানটান করে মেলবেন না। জল ঝরিয়ে নিয়ে হালকাভাবে দড়ি বা হ্যাঙ্গারে মেলুন।

ছায়ায় শুকানো: কড়া রোদে সুতির পোশাক শুকাতে দেবেন না। এতে রঙ বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। হালকা রোদ বা ছায়াযুক্ত স্থানে পোশাক মেললে রঙ ভালো থাকবে।

ইস্ত্রি করার সময় করণীয়:

উল্টো করে ইস্ত্রি: প্রথমে পোশাকটি উল্টো করে ইস্ত্রি করুন, তারপর প্রয়োজন হলে সোজা পিঠে ইস্ত্রি করতে পারেন। এতে পোশাকের রঙ অক্ষত থাকে।

আলমারিতে সংরক্ষণের নিয়ম:

পরিষ্কার করে রাখুন: পরিধানের পর ভালোভাবে ধুয়ে বা রোদে শুকিয়ে নেওয়ার পরই সুতির পোশাক ভাঁজ করে আলমারিতে রাখবেন।

কালোজিরা ব্যবহার: সুতির কাপড়ের পোকা-মাকড় থেকে সুরক্ষার জন্য আলমারিতে কিছু কালোজিরা দিয়ে রাখতে পারেন। এতে কাপড়ের আয়ু বাড়বে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy