সারাদিনই বসে বসে কাজ, ওজন কমাতে অফিসে কাজের ফাঁকে খেতে পারেন এসব খাবার

সারাদিন অফিসে বসে থেকে কাজ করতে হয় অনেকের। হাঁটাহাঁটির খুব বেশি সুযোগ নেই। তারপরও আবার ১০-৫ টা অফিস। জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করারও সময় পান না অনেকে। এতে করে বেড়ে যাচ্ছে শরীরের ওজন। এজন্য কঠোর ডায়েটের দিকে ঝোঁকেন অনেকে। তাতেও আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না।

এজন্য না খেয়ে থাকার অভ্যাস না করে, ওজন বাড়িয়ে দেবে না এমন খাবার খান। এতে অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে এবং শরীরে কাজ করার শক্তিও পাবেন। সেই সঙ্গে ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। চলুন জেনে নেয়া যাক কাজের ফাঁকে কী কী খাবার খেতে পারবেন-

আপেল
ওজন কমাতে আপেলের কার্যকরিতা সবারই কমবেশি ধারণা রয়েছে। সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময়ে আপেল খেতে পারেন। অনেক বেশি জল রয়েছে আপেলের মধ্যে। যা খুব তাড়াতাড়ি পেট ভরায়। ধীরে ধীরে অর্ধেক থেকে একটি পর্যন্ত আপেল খেতে পারেন। তবে এর বেশি নয়।

বাদাম ও ড্রাই ফ্রুটস
বাদাম ও ড্রাই ফ্রুটসে কার্বহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন খুব ভালো পরিমাণে রয়েছে। বাদাম ও ড্রাই ফ্রুটসে যে ফাইবার রয়েছে তা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

ছোলা
ছোলা সিদ্ধ অথবা ভেজে খেতে পারেন। এতে প্রোটিন, ফাইবার এবং বেশ কয়েকটি ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। আধা কাপ ছোলাতে ৫ গ্রাম ফাইবার এবং ১০ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া ছোলাতে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং উচ্চ মানের প্রোটিন রয়েছে যা একদিকে পেটও ভরা রাখবে আর ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

পিনাট বাটার
পিনাট বাটারের সঙ্গে একটুকরো আটার রুটি কিংবা আপেল খেতে পারেন। এটি প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমন্বয়ে একটি সুস্বাদু খাবার। আপেলে ফাইবার এবং জলের পরিমাণ বেশি অন্যদিকে পিনাটবাটার শর্করা, শরীরের উপকারী ফ্যাট ও প্রোটিনের উৎস।

ওটস
ওটসের সঙ্গে গ্র্যানোলা বার খেতে পারেন। এটি আপনাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সরবরাহ করবে। এছাড়া ওজন কমাতেও সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই খাবার। সেই সাথে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে।

পপকর্ন
পপকর্নে ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং ক্যালোরির পরিমাণ কম। ১৬ গ্রাম পপকর্নে ৬২ ক্যালোরি, ১২ গ্রাম কার্ব, ২ গ্রাম ফাইবার এবং ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এই পপকর্ন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং সেই সাথে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy