কুকুর এমনিতে শান্ত প্রাণি। কিন্তু একবার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে কামড়ে দেওয়া তার জন্য অস্বাভাবিক নয়। কোনোভাবে যদি কুকুর কামড়ে দেয় তাহলে একদমই সময় নষ্ট করা যাবে না। দ্রুত নিতে হবে চিকিৎসা। কারণ কিছু কুকুর Rabies ভাইরাসে আক্রান্ত থাকে। কুকুরটি কাউকে কামড়ালে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করে।
কুকুর কামড়ানোর পর দ্রুত চিকিৎসা না নিলে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাবে। কারণ Rabies এর কোনো চিকিৎসা নেই। ভাইরাসটি মানুষের নার্ভে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই কুকুর কামড়ালে যত দ্রুত সম্ভব নিতে হবে সঠিক চিকিৎসা। জেনে নিন এমন পরিস্থিতিতে করণীয়-
আক্রান্ত স্থান ধুয়ে নিন
যে স্থানে কুকুর কামড় দিয়েছে সেই স্থান ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে সাবান ও পরিষ্কার জল দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে নিতে হবে। এতে ক্ষত পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটুকু আপনার কাজ। এরপর যত দ্রুত সম্ভব ছুটতে হবে চিকিৎসকের কাছে।
কামড়ের জায়গাটি বাঁধবেন না
অনেকের ধারণা হলো, কুকুর কামড় দিলে আক্রান্ত স্থানের আশপাশে বেঁধে দিলে বিষ ছড়াবে না। কিন্তু এটি একেবারেই সঠিক নয়।কারণ এভাবে শক্ত করে বাঁধলে সেই জায়গায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেখানে গ্যাংরিন হতে পারে। এমন অবস্থায় জায়গাটি বেঁধে রাখা যাবে না। খোলা রাখবেন।
মলম ও ব্যান্ডেজ ব্যবহার করবেন না
আক্রান্ত স্থানটি ধুয়ে নিন। সেখানে কোনো ধরনের মলম লাগাবেন না। এমনটা করলে সৃষ্টি হতে পারে সমস্যা। সেইসঙ্গে ব্যান্ডেজ লাগালেও সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। এদিকে খেয়াল রাখুন। নিজে থেকে চিকিৎসা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান।
প্রথম দিনেই কুকুর কামড়ানোর টিকা নিন
Rabies থেকে বাঁচার জন্য যত দ্রুত সম্ভব টিকা নিতে হবে। কারণ একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে তখন আর কিছু করার থাকবে না। টিকা নেওয়ার মাধ্যমে এই অসুখ থেকে পাওয়া সহজ হবে। নয়তো সমস্যা বেড়ে যাবে অনেকাংশে। কুকুর কামড়ানোর ০, ৩, ৭, ১৪ ও ৩০ দিনের মাথায় টিকা নিতে হয়। ক্ষত যদি বেশি হয় তবে ইমিউনোগ্লোবিউলিন নিতে হতে পারে।
কুকুরটির দিকে লক্ষ রাখুন
কুকুর কামড়ানোর পর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা তো করবেনই। সেইসঙ্গে কুকুরটির দিকে লক্ষ রাখুন। তার মধ্যে পাগলাটে আচরণ দেখলে বা শরীর খারাপ দেখলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। এর মাধ্যমে অনেক মানুষকে বাঁচানো সম্ভব হবে।bs