সন্তান জন্মের পর ওজন বাড়লে যা করবেন, জেনেনিন প্রত্যেক বাবা-মায়েরা

প্রতিটি নারীকেই কোনো না কোনো সময় মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। যা প্রত্যেকটি মায়ের জন্যই খুব সুখের। তবে গর্ভকালীন সময়ে একটি সমস্যা সব মায়েদেরই হয়ে থাকে। আর সেটি হচ্ছে ওজন বেড়ে যাওয়া। এর ফলে পরবর্তীতে তাদের নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। সন্তান জন্মের পর নতুন মায়েরা অতিরিক্ত ওজন কমাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান।

অন্যদিকে তাদের সন্তানের কথাও ভাবতে হয়। কারণ সন্তান জন্মের পরে যেহেতু তারা বুকের দুধ পান করে, তাই এ সময় নতুন মায়েদের ডায়েট করাও সম্ভব হয় না। তাহলে এ সময় ওজন কীভাবে কমাবেন সেটি নিয়েই চিন্তা করছেন? আজ থেকে আর চিন্তা নয়। কারণ এই কঠিন সমস্যার রয়েছে সহজ সমাধান।

নিশ্চয়ই দেখেছেন, কারিনা কাপুর খান থেকে শুরু করে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, মালাইকা অরোরা খান, লারা দত্তসহ শিল্পা শেঠি তারাও মা হয়েছেন। তবুও তারা ফিট। পোস্ট ডেলিভারির পর শরীরকে আবার আগের আকারে ফিরে আনতে এসব বলি নায়িকারাও ফিট থাকতে ফিটনেস মন্ত্র ব্যবহার করেছেন। যার দরুন তারা দ্রুত ওজন কমিয়ে শরীরের আকার ঠিক রাখতে পেরেছেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক দ্রুত ওজন কমাতে আজ থেকে আপনার করণীয়-

খাবারে মোটেও অনিয়ম নয়

>> চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।

>> প্রতিদিনের খাবারে উচ্চমাত্রার প্রোটিন যেমন- চর্বিযুক্ত মাংস, মুরগি, হাঁসের মাংস, ডিম, দই এবং স্কিমযুক্ত দুধ খেতে পারেন।

>> সদ্য হওয়া মাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত খাবার খেতে হবে। না হলে শরীর সব ধরনের পুষ্টি পাবে না। তাই কোনো বেলার খাবারই এড়িয়ে যাবেন না। দিনে কমপক্ষে ৫-৬ বার অল্প অল্প করে খাবার খাবেন।

>> স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- শাকসবজি এবং ফল অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখবেন। এছাড়াও রুটি, সিরিয়াল, বাদামি চাল এবং পাস্তা রাখতে পারেন।

ভুলেও ক্র্যাশ ডায়েট করবেন না

গর্ভকালীন সময় ও প্রসব বেদনার পর আপনার দেহের কিছুটা সময় প্রয়োজন। শিশুর বয়স কমপক্ষে ২ মাস বয়স না হওয়া পর্যন্ত শরীরের উপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবেন না। আপনি যদি বুকের দুধ খাওয়ান, তবে ক্র্যাশ ডায়েট করলে শিশুর দুধ পাবে না।

শরীরচর্চা শুরু করুন

আপনার যদি স্বাভাবিক প্রসব হয়, তবে আপনি ২০-৩০ দিনের মধ্যে অল্প অল্প করে ফ্রি-হ্যান্ড বা কার্ডিও ব্যায়ামগুলো শুরু করতে পারেন।

আর যদি আপনার সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়ে থাকে, তবে কমপক্ষে দেড় থেকে ২ মাস সময় নিন। তবে চাইলে ৪০ দিনের পর থেকে নিয়মিত হাঁটা ও অল্প কিছু ব্যায়াম করতে পারেন।

প্রচুর জল পান করুন

ত্বক ও শরীর ভালো রাখতে প্রচুর জল পান করার বিকল্প নেই। মায়ের দুধে থাকে ৫০ শতাংশ জল । তাই দিনে কমপক্ষে ৩ লিটার জল পান করা আবশ্যক।

নিয়মিত ব্রেস্টফিডিং করান

শিশুকে দুধ খাওয়ালে নতুন মায়ের ওজন কমতে শুরু করে। কারণ এটি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি পোড়ায়! তবে অনেক সময় বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ দুধ খাওয়ানোর পরই আপনি ক্ষুধার্ত বোধ করবেন। এ কারণে এ সময় ডায়েট করা অসম্ভব বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তবে পুষ্টিকর ও ফাইবারজাতীয় খাবার দিয়ে যদি পেট ভরান; তাহলে ক্রমশ ক্ষুধা কমবে। যা ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

ভালো ঘুম আবশ্যক

ওজন কমাতে গেলে দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। তাই এ সময় সদ্য মায়েদের উচিত নিয়ম করে ঘুমানোর।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নতুন মায়েরা দিনে ৫ ঘণ্টা ঘুমান; তাদের তুলনা যারা ৭ ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন সন্তান জন্মের পর সেসব মায়েদের ওজন দ্রুত কমেছে। তাই এ সময় মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তিই পারে দ্রুত ওজন কমাতে

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy