সন্তানের ভালো বন্ধু হবেন কীভাবে, বিস্তারিত জানুন

একটা শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য তার বাবা মায়ের সহযোগিতা অপরিহার্য। আর সন্তানকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে চাইলে সন্তানের সাথে বন্ধন হতে হবে দৃঢ়।

সন্তানের সঙ্গে দৃঢ় বন্ধন তৈরি করতে তার সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে তোলা দরকার। অতিরিক্ত শাসন নয়, বরং তার জন্য সুন্দর ও নিরাপদ একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তার কৃতিত্ব উদযাপন করুন, তার ব্যর্থতায়ও পাশে থাকুন।

সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক থাকলে ভবিষ্যতে জীবনে তার কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। তাই সন্তানের বন্ধু হতে চাইলে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন-

সবসময় সন্তানের পাশে থাকুন
একটি শিশুর সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার জন্য যা প্রয়োজন তার মধ্যে জরুরি হল তার পাশে কেউ থাকা। আপনার সন্তান স্কুলে সমস্যায় পড়তে পারে বা কোন বিষয়ে নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন হতে পারে। তাই আপনার সন্তানকে আশ্বাস দিন যে আপনি সর্বদা তার সাথে আছেন তার যে কোন সমস্যায়। সন্তানের আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলুন যাতে সে আপনার সাথে তার মনের কথা বলতে পারে। এভাবে ধীরে ধীরে আপনার সন্তান আপনার সাথে তার সব কিছু শেয়ার করতে শুরু করবে।

সন্তানের সাথে সময় কাটান
বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনে অনেক বাবা-মাই সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। কিন্তু সন্তানের সাথে সময় কাটানোর জন্য আপনার ব্যস্ত সময়সূচী থেকে সময় বের করুন। দিনের মধ্যে কিছুটা হলেও বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের সাথে কোয়ালিটি টাইম কাটানো। মাঝেমধ্যে তাদেরকে নিয়ে বেড়াতে যান। এটি আপনার বাচ্চাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনে আরও সাহায্য করবে। এছাড়া পারিবারিক পরিবেশ তাদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ফেলে।

অতিরিক্ত শাসন নয়
সন্তানকে বড় করতে গিয়ে অনেক বাবা-মাই সন্তানকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখেন আর অতিরিক্ত শাসন করেন। এতে করে সন্তানের মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে এবং সন্তান নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়তে পারে। তাই সন্তান কোন ভুল করলে তাকে ভুলের কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে তা বুঝান এবং সাবধান করুন।

তাদের আগ্রহের প্রতি আগ্রহ দেখান
একেকজনের একেক ব্যাপারে আগ্রহ থাকে। সন্তানকে কোনো ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করবেন না। তার আগ্রহে আগ্রহ দেখান। তার ভালো কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিন। এতেও সন্তানের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।

সন্তানের কথা শুনুন
সব ব্যাপারে শিশুকে উপদেশ দেবেন না। তাহলে শিশুদের আবেগ প্রকাশ করার আগ্রহ থাকে না। বরং তার কথা শোনার মানসিকতা থাকতে হবে। এতে করে আপনার মতামতও তখন তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সন্তানের আবেগ, আনন্দ, রাগ বা হতাশাকে বরণ করতে শিখুন। কারণ সেও আপনার মতোই আলাদা একজন মানুষ।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy